যথাসময়ে ব্যবহার করতে না পারায় ফেরত গেল করোনা খাতের বরাদ্দের টাকা

সোমবার, ১২ জুলাই ২০২১ | ১:৪৩ অপরাহ্ণ

যথাসময়ে ব্যবহার করতে না পারায় ফেরত গেল করোনা খাতের বরাদ্দের টাকা
apps

কমলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে করোনা খাতের জন্য পাওয়া বরাদ্দ যথাসময়ে ব্যবহার করতে না পারায় ১৪ লাখ ৯৪ হাজার ৬০০ টাকা ফেরত গেছে। করোনা টিকা প্রদান, নমুনা সংগ্রহ, রোগীদের পরিচর্যা, করোনা সামগ্রী ক্রয়, প্রশিক্ষণ ও করোনা সংশ্লিষ্ট অন্যান্য খাতে ২০২০-২১ অর্থবছরে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ডাইরেক্টর ওএমএনএইচ স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ৫০ শয্যা কমলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১৯ লাখ ৬৫ হাজার ৫২০ টাকা বরাদ্ধ দেয়। কিন্তু নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ওই টাকা খরচ না করায় ১৪ লাখ ৬৫ হাজার ৫২০ টাকা ফেরত চলে গেছে।

মৌলভীবাজার জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, করোনা সংশ্লিষ্ট খাতে ২০২০-২১ অর্থবছরে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় প্রশিক্ষণের জন্য বরাদ্দ দেয় ১ লাখ ২ হাজার ১৬০ টাকা। যার পুরোটাই খরচ হয়েছে। আপ্যায়নের জন্য ১০ লাখ ৩৬ভ হাজার ৮০০ টাকা বরাদ্দ দিয়েছে। খরচ হয়েছে ২ লাখ ৫৬ হাজার ৮০০ টাকা। ফেরত চলে গেছে ৭ লাখ ৮০ হাজার। পরিবহনের জন্য বরাদ্দকৃত ৩ লাখ ৬০ হাজার টাকার মধ্যে খরচ হয়েছে ৪১ হাজার টাকা।

ফেরত গেছে ৩ লাখ ১৬ হাজার টাকা। ভ্রমণের জন্য বরাদ্দ ১ লাখ ৮০০ টাকার মধ্যে খরচ হয়েছে ৫ হাজার ২০০ টাকা। ফেরত গেছে ৯৫ হাজার ৬০০ টাকা। স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রীর জন্য বরাদ্দ ৪০ হাজার ৫৬০ টাকা যার পুরোটাই খরচ হয়েছে। সম্মানী ভাতা হিসেবে বরাদ্দকৃত ২৫ হাজার ২০০ টাকার পুরোটাই খরচ হয়েছে। সব মিলিয়ে এই ছয় খাতে মোট বরাদ্দ হয়েছে ১৬ লাখ ৬৫ হাজার ৫২০ টাকা। এর মধ্যে খরচ হয়েছে ৪ লাখ ৭০ হাজার ৯২০ টাকা। অবশিষ্ট ১১ লাখ ৯৪ হাজার ৬০০ টাকা ফেরত চলে গেছে। এছাড়াও স্বাস্থ্য অধিদপ্তর কর্তৃক সংগনিরোধক খাতে ৩ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হলেও কোন টাকাই কাজে না লাগাতে পারায় পুরোটা ফেরত গেছে।

কমলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মাহবুবুল আলম ভূঁইয়া বলেন, এসব বিষয়ে জেলা সিভিল সার্জন অফিসে তথ্য প্রেরণ করা হয়েছে বলে জানালেও টাকা ফেরত চলে যাওয়ার বিষয়ে তিনি কোনো মন্তব্য করেননি। মৌলভীবাজার সিভিল সার্জন ডা. চৌধুরী জালাল উদ্দিন মুর্শেদ বলেন, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় অর্থ ব্যয়ে সুনির্দিষ্ট কোনো পরিকল্পনা দেয়নি। যার কারণে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সব টাকা খরচ করা সম্ভব হয়নি। তাছাড়া মন্ত্রণালয় থেকে টাকা সরাসরি সংশ্লিষ্ট উপজেলায় পাঠানো হয়। যার কারণে ব্যয়ের বিষয়ে আমাদের কোনো এখতিয়ার ছিল না বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

Development by: webnewsdesign.com