ময়মনসিংহে রাইস মিলের বিষাক্ত পানিতে জমির ফসল নষ্ট

বৃহস্পতিবার, ০২ জানুয়ারি ২০২০ | ৭:২৯ অপরাহ্ণ

ময়মনসিংহে রাইস মিলের বিষাক্ত পানিতে জমির ফসল নষ্ট
apps

ময়মনসিংহে রাইস মিলের বিষাক্ত পানিতে হুমকির সম্মুখীন ফুলবাড়ীয়া উপজেলার বাক্তা নিশ্চিন্তপুর গ্রামের ফসলি জমিগুলো। অটো রাইস মিলের বিষাক্ত পানিতে স্থানীয় কৃষকদের প্রায় ৭০ একর জমির ফসল নষ্ট হয়ে গেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন মিল মালিক। সহজ-সরল, নিরীহ কৃষকরা তাদের উৎপাদিত ফসল ঘরে তুলতে না পেরে দু:চিন্তায় পড়েছেন। উল্টো নিরীহ কৃষকদের জমি বিক্রি করে ঢাকায় চলে যাওয়ার প্রস্তাব দিয়েছেন ক্ষমতাধর মিল মালিক কর্তৃপক্ষ।

উপজেলার বাক্তা ইউনিয়নের কেশরগঞ্জ টু ফুলবাড়ীয়া সড়কের নিশ্চিন্তপুর নামক স্থানে প্রায় পাঁচ বছর আগে স্থাপন করা হয় সরকার অটো রাইচ মিল। কার্যক্রম শুরু করেই ধামাচাপার মাধ্যমে অনুমোদন বা ট্রেড লাইসেন্স গ্রহণ করেন। বিসমিল্লাহ গলদ দিয়ে বিধি নিষেধের তোয়াক্কা না করে প্রতারণার মাধ্যমে অটো রাইচ মিলটি স্থাপন করে কার্যক্রম চালিয়ে আসছে। রাইছ মিলটির ময়লা পানি, ছাই এবং দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী। প্রতিবাদ করে কোন ফল পায়রি ভোক্তভোগিরা। অসহায় পরিবারের কাছে কেউ নেই। ফসল ক্ষতি হলেও নীরব রয়েছে কৃষি বিভাগের মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তারা। বিত্তশালী ও কৃষি বিভাগ মিলে স্থানীয় নিরীহ মানুষের বারোটা বাজাচ্ছেন। ঐ এলাকার শাকসবজি থেকে শুরু করে সকল কৃষি পণ্যে এর প্রভাব লক্ষ্য করা গেছে। ফলে দারুনভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে সাধারণ কৃষক। স্থানীয় কৃষক সাইফুল ইসলাম জানান, মিল কর্তৃপক্ষের কাছে এলাকাবাসী প্রতিকার চেয়েও কোন প্রতিকার পায়নি। মিল মালিক এসব কথার কোন কর্নপাত করেন না। কখনো পদক্ষেপ নেননি ময়লা পানি ও ক্ষতিকর ছাই অপসারণের। উল্টো মিল মালিক অসহায় কৃষকদের হুমকি দিয়ে জমি বিক্রি প্রস্তাব দিয়েছেন। বেশি বাড়াবাড়ি কররে চুরির অপবাদ দিয়ে মামলা দেয়ার হুমকি অব্যাহত রেখেছে। নামমাত্র টাকা দিয়ে অনেকের কৃষি জমিও কিনে নিয়েছেন তিনি ।

উপজেলা কৃষি অফিসার জেসমনি নাহার জানান, কৃষকরা যদি উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর আবেদন করেন তাহলে আমি তদন্তে যাব।
মিল মালিক আবুল কালাম এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি উল্টা এ প্রতিবেদক কে বলেন, ধানের পানি কোনদিন ফসলের ক্ষতি করতে পারে? সন্ধার পর দেখা করার প্রস্তাব দেন।
বাক্তা ইউপি চেয়ারম্যান মুহাম্মদ ফজলুল হক মাখন বলেন, সরকার অটো রাইচ মিলের মালিক আমার কাছে তথ্য গোপন করে ট্রেড লাইসেন্স নিয়েছে, তিনি পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়েন হাজী মানুষ আমি তাকে বিশ্বাস করে দিয়েছি।

Development by: webnewsdesign.com