মৌলভীবাজারের জুড়ীতে এক স্কুল ছাত্রীকে উত্যক্ত করার অভিযোগে সালিশের মাধ্যমে তিন কিশোরকে চুল কেটে দিলেন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানসহ সালিশকারীরা। এর আগে স্কুলছাত্রীকে উত্যক্তের বিষয়ে জায়ফর নগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের কাছে বিচার প্রার্থী হন তার স্বজনরা।
বুধবার (১ জানুয়ারি) জায়ফর নগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাজী মাছুম রেজার সভাপতিত্বে সালিশ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন, সাবেক ইউপি সদস্য জাকির আহমদ কালা, ইউপি সদস্য আব্দুল খালিক, সিরাজুল ইসলাম, ফয়জুল ইসলাম ছোটকালা, মহিলা সদস্য আফিয়া বেগম, রুসনা বেগম প্রমুখ।
সালিশ সূত্রে জানা যায়, জুড়ী স্কুলের এক ছাত্রীকে প্রতিদিন উত্যক্ত করতেন অভিযুক্ত তিন কিশোর । গত কয়েকদিন আগে ঐ ছাত্রীকে উত্যক্ত করার সময় সে তাদেরকে গালিগালাজ করে। তখন তিন কিশোর ঐ ছাত্রীকে চড়-থাপ্পড় মারেন। এই ঘটনা বাড়িতে জানানোর পর মেয়ের স্বজনরা বাদী হয়ে স্থানীয় জায়ফর নগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের কাছে বিচার প্রার্থী হন।
এর প্রেক্ষিতে সালিশ বৈঠকে তাদের জন্য এই শাস্তি নির্ধারণ করা হয়। বৈঠকে অভিযুক্তরা স্ট্যাম্পে লিখিত মর্মে ভবিষ্যতে কোনদিন এ রকম কাজ না করার শর্তে মুক্তি চান বলে জানা যায়।
শালিসে তিন অভিযুক্তকে মাথা ন্যাড়া করে শাস্তি দেওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন জায়ফর নগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাজী মাছুম রেজা।
এ ব্যাপারে জুড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, সালিশ বিচারে চুল কাটা শাস্তি আইন সঙ্গত নয়। কোনো উত্যক্তের ঘটনা হয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে এ ব্যাপারে আমি শুনেছি তাদের অভিভাবকরাই তাদের চুল ছোট করে দিয়েছেন।
Development by: webnewsdesign.com