মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে ব্যাপকহারে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। প্রতিদিনই করোনা শনাক্ত হওয়া ও করোনা উপসর্গ নিয়ে উপজেলায় গড়ে ৩ জন করে মারা যাচ্ছেন।
এমতাবস্থায় তুলনা মূলকভাবে কম হারে চা বাগান এলাকায় করোনা শনাক্ত হলেও চা ছাত্র যুব পরিষদ, চা শ্রমিক ইউনিয়ন, চঞ্চায়েত কমিটির উদ্যোগে চা বাগানগুলোতে চলছে সচেতনতা মূলক স্বাস্থ্য সেবা কার্যক্রম। তবে বাজার ও গ্রামের মানুষজনজন স্বাস্থ্যবিধির তোয়াক্কা না করে চলচেন বেপরোয়াভাবে। কমলগঞ্জের বিভিন্ন অঞ্চল ও চা বাগান এলাকা ঘুরে এ চিত্র পাওয়া যায়।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, মাস্কবিহিন ও স্বাস্থ্যবিধি না মেনে বেপরোয়াভাবে চলাচলে করোনা শনাক্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের ৫ জন মারা গেছেন।
করোনা নমুনা দিয়ে পাওয়া তথ্য ও সরেজমিন পাওয়া তথ্যে দেখা যায়, কমলগঞ্জে ব্যাপকহারে ছড়িয়ে পড়ছে করোনা সয়ক্রমণ। ঘরে ঘরে করোনার উপসর্গ নিয়ে চিকিৎসা চলছে কমলগঞ্জের সর্বত্র। তার পরও বাজার ও গ্রাম এলাকার মানুষজন সরকারের কোন বিধিনিষেধ মানছেন না। করোনা শনাক্ত হওয়া বাজার ও গ্রামের মানুষজন অবাদে হাটবাজার করছেন। করোনার কথা জিঞ্জাস করলে বাজারে ও গ্রামের মানুষজন বলেন, আমাদের করোনা হবে না। যাদের হওয়ার তাদের হবে।
এদিকে করোনা নমুনা দিয়ে চা বাগান শ্রমিকদের মাঝে কেউ পজেটিভ হওয়ার খবর পেলে আলীনগর ও শমশেরনগর চা বাগানে চা ছাত্র যুব পরিষদ, চা শ্রমিক ইউনিয়ন, শমশেরনগর চা বাগানে জাগরণ যুব ফোরাম ও বাগান পঞ্চায়েতের উদ্যোগে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার সচেতনতা মূলক কার্যক্রম পরিচালনা করছে। তারা করোনা শনাক্ত হওয়াদের বাড়ির সামনে পুষ্ঠি সম্পন্ন খাবারসহ প্রয়োজনীয় খাবার পৌঁছে দিয়ে আক্রান্ত ব্যক্তি ১৪ দিন হোম আইসোলেশনে থাকার পরামর্শ দিচ্ছেন। আবার দেখা গেছে, চা প্লান্টেশন এলাকায় কর্মরত নারী শ্রমিকদের মাঝে মাস্কও বিতরণ করা হচ্ছে।
শমশেরনগর চা বাগানের জাগরণ যুব ফোরামের সভাপতি মোহন রবিদাস, যুব নেতা মাইকেল পেরেগু, আলীনগর চা বাগানের যুব নেতা সজল কৈরী বলেন, এ কার্যক্রম পর্যায়ক্রমে কমলগঞ্জের ২২টি চা বাগানে পরিচালিত হচ্ছে। তারা মনে করেন শুরু থেকেই প্রতিরোধ ব্যবস্থা জোরদার না করলে চা শিল্পাঞ্চলে এ মহামারি ভয়াবহ আকার ধারণ করবে। কারণ চা শ্রমিক অনেকটা অসচেতন।
তবে করোনাকালে চা শ্রমিক পরিবার সদস্যরা চা-ছাত্র যুব পরিষদ ও বাগান পঞ্চায়েতের এ কার্যক্রমে বেশ সাড়া দিচ্ছেন। তারা আরও বলেন, চা বাগান সমূহে স্বাস্থ্যবিধি মানার প্রয়োজনীয় উপকরণ সহায়তা পেলে এ কার্যক্রম আরও জোরদার করা যাবে।
এ বিষয়ে কমলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. এম মাহবুবুল আলম ভূঁইয়া বলেন, কমলগঞ্জে করোনা সংক্রমিক হয়ে ও উপসর্গ নিয়ে মারা যাচ্ছে। সবাই নমুনা দিলে শনাক্তের হার আরও বেড়ে যাবে। এ অবস্থায় স্বাস্থ্য সচেতনতায় চা বাগান সূহের কার্যক্রম উল্লেখ্যযোগ্য।
তবে বাজার ও গ্রামের মানুষজন অনেকটা অসচেতন। তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করে আরও বলেন, মানুষজন মানছে না কোন স্বাস্থ্যবিধি ও সতর্কতা। এতে করে কমলগঞ্জের অবস্থা আরও ভয়াবহ হতে পারে।
Development by: webnewsdesign.com