মৌলভীবাজারে অগ্নিকান্ড: আমাকে বাঁচাতে গিয়ে বোনটা মারা গেল

বৃহস্পতিবার, ৩০ জানুয়ারি ২০২০ | ২:০১ অপরাহ্ণ

মৌলভীবাজারে অগ্নিকান্ড: আমাকে বাঁচাতে গিয়ে বোনটা মারা গেল
apps

দোতলা টিনের ঘরের ওপরের তলায় ঘুমিয়েছিল দুই বোন পাপিয়া রায় ও প্রিয়া রায়। আগুন লাগার সময় বড় বোন প্রিয়া সবাইকে নামানোর জন্য চিৎকার করতে করতে উপরে উঠেন। এরই মধ্য নিচে নেমে আসে ছোটবোন পাপিয়া কিন্তু নামতে পারেননি প্রিয়া। পরে আগুনে দগ্ধ হয়ে মারা যান তিনি।

মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টায় মৌলভীবাজার শহরে একটি জুতার দোকানে আগুন লেগে একই পরিবারের চারজনসহ পাঁচজন মারা গেছেন। শহরের সাইফুর রহমান রোডের কিংস শু’জ নামের একটি দোকান থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়।

 

 

 

 

বুধবার ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, পাশের একটি দোকানে বসে পাপিয়া বিলাপ করছেন। বারবার বোনকে ডাকছেন আর বলছেন, ‘আমার বোনটা কতো কষ্ট পেয়ে মারা গেছে। আমাকে বাঁচাতে গিয়ে বোনটা মারা গেল। আমার বোনকে ছাড়া আমি খাব না’।

পরিবারের বেঁচে যাওয়া সদস্যরা জানায়, দুই বোনের খুব আন্তরিকতা ছিল। একজন আরেকজনের সঙ্গে বন্ধুর মতে চলাফেরা করতো। শত চেষ্টা করেও তাকে খাওয়াতে পারছেন না কেউই। এরই মধ্যে সে অসুস্থ হয়ে গেছে। পরিবারের চারজনকে হারিয়ে তারা নিঃস্ব হয়ে গেছেন।

পাপিয়ার বড় বোন প্রিয়াংকা রায় বলেন, আমার বাবা, বোন, মামী, মামাতো বোন সব শেষ। আমাদের কেউ রইল না।

 

 

 

 

পিংকি সু স্টোরের মালিক নিহত সুভাষ রায়ের তিন মেয়ে ও এক ছেলে। বড় মেয়ের বিয়ে হয়েছে গত ২২ জানুয়ারি। দ্বিতীয় মেয়ে প্রিয়া রায় মারা গেছেন আগুনে পুড়ে বাবার সঙ্গে। ছোট মেয়ে পাপিয়া এবং ৯ বছরের ছেলে সৌম্য রায় বাবা আর বোনের শোকে এখন স্তব্ধ।

মঙ্গলবারের ওই ঘটনায় মামলা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন মৌলভীবাজার মডেল থানার ওসি (তদন্ত) পরিমল দাস। এদিকে ঘটনার কারণ জানতে জেলা প্রশাসন ও পৌরসভার উদ্যোগে গঠিত দুটি তদন্ত কমিটি কাজ করছে।

Development by: webnewsdesign.com