জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান ও বিরোধী দলীয় উপনেতা জনবন্ধু গোলাম মোহাম্মদ কাদের এমপি বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শণ, শহীদ বুদ্ধিজীবীদের আত্মার শান্তি কামনা ও স্বজনহারাদের প্রতি সহানুভূতি জানিয়ে বলেছেন, যে স্বপন নিয়ে মহান মুক্তিযুদ্ধ সংগঠিত হয়েছে, যে উদ্দেশ্যে বীর শহীদরা জীবন দিয়েছে।
মুক্তিযুদ্ধের সেই স্বপ্ন এখনো বাস্তবায়ন হয়নি। তাই মুক্তযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়নের সংগ্রাম এখনো শেষ হয়নি। মহান মুক্তিযুদ্ধের স্বপ্ন বাস্তবায়নে আমাদের রাজনীতি চলবে। আমরা বৈষম্য ও শোষণমুক্ত একটি নতুন বাংলাদেশ গড়তে এগিয়ে যাবো। আমরা তেমন বাংলাদেশ গড়তে চাই যেমন বাংলাদেশ গড়তে বীর শহীদরা জীবন উৎসর্গ করেছেন।
আজ সকালে শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে পুস্পস্তবক অর্পণ এবং বীর শহীদদের মাগফিরাত কামনা করে উপস্থিত গণমাধ্যম কর্মীদের এক প্রশ্নের জবাবে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান জনবন্ধু গোলাম মোহাম্মদ কাদের একথা বলেন।
এসময় জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান জনবন্ধু গোলাম মোহাম্মদ কাদের আরো বলেন, বাংলাদেশ যখন স্বাধীনতার দ্বারপ্রান্তে তখন পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী বাঙালী জাতিকে মেধা শূণ্য করতেই দেশের বুদ্ধিজীবীদের নির্মমভাবে হত্যা করে। এটা ছিলো গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ।
তিনি বলেন, বৈষম্য ও শোষণ থেকে মুক্তির লক্ষ্যেই আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধ সংগঠিত হয়েছে। আমাদের সামনে স্পষ্ট ছিলো পশ্চিম পাকিস্তানীরা আমাদের সাথে বৈষম্য সৃষ্টি করেছিলো। তখন বাঙালীদের দ্বিতীয় শ্রেণীর নাগরিকে পরিণত করেছিলো পাকিস্তানীরা। আমাদের বঞ্চিত করতো সকল অধিকার থেকে। পাশাপাশি পূর্ব পাকিস্তানের সম্পদ লুট করে পশ্চিম পাকিস্তান সাজাতো। এটা বাঙালী জাতি মেনে নিতে পারেনি। শোষণ আর বৈষম্যের প্রতিবাদেই প্রথমে স্বাধিকার আন্দোলন এবং পরে স্বাধীনতা সংগ্রাম হয়েছে। বৈষম্য ও শোষণের বিরুদ্ধে লড়াই হচ্ছে মুক্তিযুদ্ধে মূল চেতনা।
এসময় জনবন্ধু গোলাম মোহাম্মদ কাদের আরো বলেন, স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছরেও আমরা বৈষম্যের উর্ধে উঠতে পারিনি, শোষণমুক্ত সমাজ গড়তে পারিনি আমরা। এখন বাঙালী-বাঙালী বৈষম্য সৃষ্টি করেছে। সরকারি দল ও সরকারি দলের বাইরে বৈষম্য সৃষ্টি হয়েছে। এখনো আমাদের সম্পদ বিদেশে পাচার হচ্ছে। বিদেশী গণমাধ্যমে আমরা জানতে পারি দেশ থেকে বিলিয়ন-বিলিয়ন ডলার বিদেশে চলে যাচ্ছে। তাই মহান মুক্তিযুদ্ধে লাখো শহীদের আত্মত্যাগ ও মা-বোনদের সম্ভ্রমের বিনিময় এবং শহীদ বুদ্ধিজীবীদের সর্বোচ্চ ত্যাগে যে উদ্দেশ্যে, তা এখনো সফল হয়নি।
উপস্থিত ছিলেন জাতীয় পার্টির মহাসচিব মোঃ মুজিবুল হক চুন্নু এমপি, প্রেসিডিয়াম সদস্য মীর আব্দুস সবুর আসুদ, শফিকুল ইসলাম সেন্টু, উপদেষ্টা হেনা খান পন্নি, আমানত হোসেন আমানত, ড. প্রফেসর গোলাম মোস্তফা, ভাইস চেয়ারম্যান সুলতান আহমেদ সেলিম, শেখ মোঃ আলমগীর হোসেন, জাহাঙ্গীর হোসেন পাঠান, এইচএম শাহরিয়ার আসিফ, যুগ্ম মহাসচিব মোঃ সামসুল হক, মোঃ বেলাল হোসেন, একেএম আশরাফুজ্জামন খান, সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ হেলাল উদ্দিন, মোঃ নাসির উদ্দিন সরকার, এবিএম লিয়াকত হোসেন চাকলাদার, কাজী আবুল খায়ের, সম্পাদকমন্ডলীর সদস্য সুলতান মাহমুদ, এমএ রাজ্জাক খান, আহাদ ইউ চৌধুরী শাহীন, গোলাম মোস্তফা, ডা. সেলিমা খান, কেন্দ্রীয় নেতা জাহানারা মুকুল, তাসলিমা আকবর রুনা, আব্দুস সাত্তার, মোঃ রেজাউল করিম, সরদার নজরুল ইসলাম, সাফিয়া পারভীন, ফেরদৌসি আক্তার মুকুল, ফারুক শেঠ, জিয়াউর রহমান বিপুল, মোঃ আলমগীর হোসেন, মিথিলা রওয়াজা, সৈয়দা জাকিয়া আফরোজ হিয়া।
Development by: webnewsdesign.com