ভাষা সৈনিক, সাবেক গণপরিষদ সদস্য ও মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক খোন্দকার আবদুল মালেক শহীদুল্লাহ বার্ধক্যজনিত কারণে মৃত্যুবরণ করেছেন। মঙ্গলবার (২ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে ময়মনসিংহের মুক্তাগাছার নন্দীবাড়িতে তার মৃত্যু হয়। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৫ বছর।
তার মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
১৯৫২ সালে নবম শ্রেণির ছাত্র থাকা অবস্থায় ভাষা আন্দোলনে অংশগ্রহণের দায়ে জামালপুর জিলা স্কুল থেকে তাকে বহিস্কার করে কর্তৃপক্ষ। বাড়ি মুক্তাগাছায় হলেও বাবার চাকরির কারণে ১৯৫২ সালে তারা সপরিবারে থাকতেন জামালপুরে। এরপর রাজনীতির সঙ্গে জড়িত হন। বৃহত্তর ময়মনসিংহের জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন তিনি। ১৯৭০ এর নির্বাচনে মুক্তাগাছা আসন থেকে এমপিএ নির্বাচিত হন। মুজিবনগর সরকারের সদস্য ও মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ছিলেন খোন্দকার আবদুল মালেক। স্বাধীনতা যুদ্ধকালীন ‘মুক্তি’ নামে পত্রিকার সম্পাদনা করেছেন। এরপর ১৯৯৭ সালে মুক্তাগাছা পৌর-চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচিত হন আবদুল মালেক শহীদুল্লাহ।
পরিবারের সদস্য ও স্বজনরা জানান, দীর্ঘীদন যাবত তিনি বার্ধক্যজনিত নানা রোগে ভুগছিলেন। দীর্ঘদিন পক্ষাঘাতগ্রস্ত থাকার পর ২০২০ সালে সংসদ সদস্য আবদুল মতিন খসরু ও তার স্ত্রীর সহায়তায় ঢাকায় চিকিৎসার ব্যবস্থা হয়। এরপর প্রধানমন্ত্রীর তহবিল থেকে অনুদানের মাধ্যমে চিকিৎসা চলছিল।
রাজনৈতিক সহযোগীরা জানান, বঙ্গবন্ধুর এ ঘনিষ্ঠ সহচর, গণমানুষের অধিকার রক্ষায় আজীবন ভূমিকা রেখেছেন।
তার মৃত্যুতে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য আবদুল মতিন খসরু ও সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদসহ রাজনৈতিক অনুসারীরা শোক জানিয়েছেন।
বুধবার সকালে জানাজার পর তাকে দাফন করা হবে পারিবারিক কবরস্থানে।
Development by: webnewsdesign.com