মুক্তিপণ আদায় করতে অপহরণ, অতঃপর হত্যা

সোমবার, ১৮ জানুয়ারি ২০২১ | ৪:৫৩ অপরাহ্ণ

মুক্তিপণ আদায় করতে অপহরণ, অতঃপর হত্যা
apps

ময়মনসিংহের তারাকান্দা উপজেলার রামচন্দ্রপুর এলাকায় বাকপ্রতিবন্ধী শিশু সানজিদাকে (৭) মুক্তিপণ আদায় করতে অপহরণ করা হয়েছিল। কিন্তু অপহরণের পর পরই সানজিদা কান্নাকাটি করায় তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে।

হত্যার রহস্য উদঘাটন ও প্রধান অভিযুক্তসহ দুজনকে গ্রেপ্তারের পর এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান র‍্যাব-১৪ অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এফতেখার উদ্দিন।

রবিবার (১৭ জানুয়ারি) দুপুরে র‍্যাব-১৪’র ব্যাটালিয়ন সদর কমপ্লেক্সে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতরা হল- রামচন্দ্রপুর এলাকার আবুল হাসিম আকন্দের ছেলে ইয়াছিন আকন্দ (১৬) ও তারাকান্দা বাজারের বিকাশ এজেন্ট নিশীথ কুমার সিংহ।

১৪’র অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এফতেখার উদ্দিন বলেন, শুক্রবার (১৫ জানুয়ারি) বাড়ির পাশে একটি জঙ্গলে শিশু সানজিদার মরদেহ উদ্ধারের পর বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু করে র‍্যাব-১৪। বিভিন্ন বিষয় পর্যালোচনা ও বিশ্লেষণ করে নিবিড় তদন্তের মাধ্যমে ঘটনার রহস্য উদঘাটন করতে সক্ষম হয় এবং জড়িত সন্দেহে একই বাড়ির আবুল হাশিমের ছেলে ইয়াছিনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি বলেন, পরে ইয়াছিনকে জিজ্ঞাসাবাদে বেড়িয়ে আসে হত্যার ঘটনা।

গত ১২ জানুয়ারি দুপুরে সুপাড়ি কুড়ানোর নাম করে সানজিদাকে তার বাড়ির পাশের জঙ্গলে নিয়ে যায় ইয়াছিন ও একই এলাকার আরেক কিশোর শাকিল। একটু পরই বাড়ি যাওয়ার জন্য কান্নাকাটি শুরু করলে তারা দুজন শিশুটির গলা টিপে ধরে। এতে শ্বাসরোধে মারা যায় সানজিদা। মৃত্যুর পর সেখানেই ফেলে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে ঘাতকরা। ওইদিন রাতে ঘরের বারান্দায় একটি চিরকুট ফেলে রাখে তারা। সেখানে একটি নাম্বার উল্লেখ করে লেখা ছিল- আপনার মেয়েকে বাঁচাতে চাইলে এই নাম্বারে কল করুন।’ তবে সেটি বন্ধ পাওয়া গেলেও পরদিন একটি বিকাশ এজেন্টের নাম্বার থেকে ফোন দিয়ে তাদের ২০ হাজার টাকা পাঠাতে বলে।

র‍্যাব-১৪ অধিনায়ক আরো জানান, মূলত টাকার জন্যই ইয়াছিন ও শাকিল মিলে শিশুটিকে অপহরণ করে। কিন্তু কান্নাকাটি করায় অপহরণের পরপরই তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করে তারা। পরে ইয়াছিনকে গ্রেপ্তারের পর তার স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে বিকাশ এজেন্ট নিশীথ কুমারকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ ঘটনায় পলাতক আরেক ঘাতক শাকিলকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

Development by: webnewsdesign.com