মামুনুল হককে গ্রেফতারের পর যা বললেন ডিসি হারুন

রবিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২১ | ৩:৪৭ অপরাহ্ণ

মামুনুল হককে গ্রেফতারের পর যা বললেন ডিসি হারুন
apps

অবশেষে হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব ও ঢাকা মহানগরের সাধারণ সম্পাদক মাওলানা মামুনুল হককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মোহাম্মদপুর থানায় ভাঙচুরের এক মামলায় তাকে গ্রেফতার করা হয়।

রোববার (১৮ এপ্রিল) দুপুরে এক ব্রিফিংয়ে বিষয়টি নিশ্চিত করেন তেজগাঁও বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) হারুন অর রশীদ। মামুনুলকে গ্রেফতারে কোনো বাধার সম্মুখীন হতে হয়নি বলেও জানিয়েছেন তিনি।

ডিসি বলেন, দেশে বিভিন্ন সময় মামুনুল উসকানিমূলক বক্তব্য দিয়েছেন। এর প্রেক্ষিতে বিভিন্ন জায়গায় ভাঙচুরসহ নাশকতার ঘটনা ঘটেছে। এ জন্য তার বিরুদ্ধে আরও মামলা হয়েছে।

তিনি বলেন, সম্প্রতি সারাদেশে হেফাজতের তাণ্ডবে থানা-সরকারি অফিসসহ অনেক কিছুই ভাঙচুর হয়েছে। আমাদের মোহাম্মদপুর থানায়ও ভাঙচুরের একটি মামলা ছিল। সেই মামলার প্রেক্ষিতে আমরা তদন্ত করছিলাম। তদন্তের ভিত্তিতে আমরা নিশ্চিত হয়েছি, ২০২০ সালের এক মামলার সঙ্গে সে জড়িত। এ মামলায় আমরা তাকে জামিয়া রহমানিয়া মাদ্রাসা থেকে পৌনে ১টার দিকে গ্রেফতার করেছি। ওখান থেকে গ্রেফতার করে আমাদের অফিসে নিয়ে এসেছি। এ ঘটনার সত্যতা সে স্বীকার করেছে বলেও জানান ডিসি।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে হারুন অর রশীদ বলেন, ২০১৩ সালের শাপলা চত্বরের ঘটনা থেকে শুরু করে এ পর্যন্ত বিভিন্ন জায়গায় উসকানিমূলক বক্তব্য দিচ্ছে হেফাজত। এর প্রেক্ষিতে সারাদেশের বিভিন্ন জায়গায় ভাঙচুরসহ নানা অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেছে। মামুনুলের বিরুদ্ধে অজস্র মামলা রয়েছে। আমাদের কাছে যে মামলাটি রয়েছে, তাতে আমরা সত্যতা পেয়েছি।

সোমবার (১৯ এপ্রিল) মামুনুলকে আদালতে প্রেরণ করা হবে জানিয়ে ডিসি বলেন, আইনগতভাবে যা যা করা দরকার আমরা তাই করব। আদালতে পাঠানোর আগে থানাতেই রাখা হবে।

মামুনুলের রিমান্ড আবেদন বিষয়ে জানতে চাইলে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে হারুন অর রশীদ বলেন, তার বিরুদ্ধে আরও মামলা রয়েছে, ওই মামলাগুলোসহ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

প্রসঙ্গত, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সফর সাম্প্রতিক সহিংসতা ও রিসোর্টকাণ্ডে রাজধানীর পল্টন থানা ও নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ থানায় দুটি মামলা হয়েছে মামুনুল হকের বিরুদ্ধে। এ ছাড়া উসকানিমূলক বক্তব্য দিয়ে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করায় তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। ২০১৩ সালের শাপলা চত্বর তাণ্ডবের ঘটনাতেও তার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ থানাধীন রয়েল রিসোর্টে নারী সঙ্গীসহ স্থানীয় লোকজনের হাতে আটক হওয়ার পর ছাড়া পেয়ে ওই রাতেই ঢাকায় চলে আসেন মামুনুল। ঢাকার মোহাম্মদপুরের কাদিরাবাদ হাউজিংয়ের নিজ বাসায় না গিয়ে তিনি পাশেই জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদ্রাসায় যান। এত দিন সেখানেই অবস্থান করছিলেন।

Development by: webnewsdesign.com