মাধবপুরে করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত নার্সারি মালিকরা

রবিবার, ১১ জুলাই ২০২১ | ৪:১১ অপরাহ্ণ

মাধবপুরে করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত নার্সারি মালিকরা
apps

দয়ালের দয়াল নার্সারি’র মালিক মোঃ মোবারক হোসেন। হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার ঘিলাতলী গ্রামের বাসিন্দা তিনি। তিনি প্রায় ২৭ বছর ধরে কঠিন প্রতিকুল পরিবেশের সাথে সংগ্রাম করে নার্সারী চাষে মনোযোগী হন। করোনা প্রাদুর্ভাবের আগে তার ব্যবসায়িক পুঁজি ছিল দেড় লাখ টাকা।

নগদ ছিল ২০ হাজার, বিভিন্ন প্রজাতির ফুল, ফল ও বনজ গাছের চারা ছিল প্রায় ৮০ হাজার টাকার। করোনার কারণে ঘুরে ঘুরে চারা বিক্রি করতে পারছেন না। ব্যবসায়িক পুঁজির টাকায় সংসার চালাচ্ছেন। এদিকে, প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও অতিবৃষ্টিতে নষ্ট হয়ে গেছে বেশকিছু গাছের চারা।

অন্যদিকে, নির্দিষ্ট সময়ে বিক্রি করতে না পারায় বীজতলায় অনেক চারার বয়স পার হয়ে গেছে। অবশিষ্ট চারাগুলো কম দামে বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহের কথা ভাবছেন মোঃ মোবারক হোসেন। তবুও মিলছে না গ্রাহক। এতে করে চরম বিপাকে পড়েছেন এই নার্সারি উদ্যোক্তা। শুধু ঘিলাতলী গ্রামের মোঃ মোবারক হোসেন এ শিল্পের সঙ্গে জড়িত শ্রমিক, ভ্যানচালক ও মৌসুমি চারা বিক্রেতারা খুব কষ্টে আছেন। এভাবে চলতে থাকলে লোকসানের পাশাপাশি পুঁজি সংকটেও পড়তে হবে নার্সারি মালিকদের।

মোঃ মোবারক হোসেন জানান, ছোটবেলা থেকেই নার্সারি ব্যবসার সঙ্গে সম্পৃক্ত তিনি। অন্যের জমি ইজারা নিয়ে গড়ে তুলেছেন নার্সারি। নার্সারিতে বীজতলা প্রস্তুত ও চারা পরিচর্যা করেন দুজন শ্রমিক। চারাগুলো হাটবাজার ও গ্রামে ঘুরে ঘুরে বিক্রি করা হয়। সে আয় দিয়েই কর্মচারীদের বেতন, নার্সারি ও সংসারের খরচ চালাতেন মোঃ মোবারক হোসেন। করোনার কারণে ঘরের বাইরে যেতে পারছেন না। অবিক্রিত থেকে যাচ্ছে চারাগুলো। বেতন দিতে না পেরে ছাঁটাই করেছেন শ্রমিকদের।

তিনি বলেন, এভাবে চললে নার্সারি বাদ দিয়ে অন্য ব্যবসায় সম্পৃক্ত হতে হবে। অন্যথায়, জীবিকা নির্বাহ কষ্টকর হয়ে পড়বে। করোনা দুর্যোগে প্রতিদিনই পুঁজি হারাচ্ছেন নার্সারি ব্যবসার সঙ্গে সম্পৃক্তরা। তাই নার্সারি মালিকদের প্রণোদনা দেওয়া উচিত। তা না হলে বহু নার্সারির মালিক এ পেশা ছেড়ে দেবেন।

মাধবপুর প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সাব্বির হাসান বলেন, তিনি এ নার্সারী থেকে ফল, ফুল ও বনজ এবং ঔষধি চারা সংগ্রহ করে তার বাড়িতে বাগান সাজিয়ে রেখেছেন। তার চারাগুলো পরিপক্ক ও সতেজ থাকায় গ্রাহক তার কাছ থেকে চারা সংগ্রহ করছে। তার পাশাপাশি সাংবাদিক লিটন পাঠানও তার কাছ থেকে চারা সংগ্রহ করে বাড়িতে সাজিয়ে রেখেছেন।

এ ব্যাপারে মাধবপুর কৃষি কর্মকর্তা মোঃ আল মামুন হাছান জানান, নার্সারী চাষীদের রোগ বালাই নিরসনে বিভিন্ন পরামর্শ দিয়ে আসছি। চাষীরা যাতে তাদের ফলায়িত চারাগুলো ঠিকমত বাজারজাত করতে পারে সেজন্য তাদেরকে বিভিন্ন উদ্যোগ দিয়ে যাচ্ছি।

Development by: webnewsdesign.com