নেত্রকোনার কেন্দুয়ায় এক মাদরাসাছাত্রীকে (১২) ধর্ষণ এবং কৌশলে গর্ভপাত করানোর অভিযোগে পাওয়া গেছে। এই অভিযোগে আবদুল হালিম নেওয়াজ সাগর (৩৫) নামে ওই মাদরাসার শিক্ষকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। নির্যাতিত ছাত্রীটির অভিভাবক বাদী হয়ে গত রবিবার রাতে কেন্দুয়া থানায় এই মামলাটি দায়ের করেন।
ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার রোয়াইলবাড়ি ইউনিয়নে। এদিকে চাঞ্চল্যকর এ ঘটনা জানাজানির পর থেকে মামলার একমাত্র আসামি মাদরাসাশিক্ষক সাগর পলাতক রয়েছে। নির্যাতিত মেয়েটি বর্তমানে নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। আসামি সাগর উপজেলার রোয়াইলবাড়ি ইউনিয়নের চরআমতলা গ্রামের ওমর ফারুকের ছেলে।
পুলিশ ও মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, উপজেলার রোয়াইলবাড়ি ইউনিয়নের আমতলা আশরাফুল উলুম জান্নাতুল মাওয়া মহিলা কওমি মাদরাসার ওই ছাত্রীকে (১২) মাদরাসার টয়লেটে প্রায় চার মাস আগে একই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক আবদুল হালিম নেওয়াজ সাগর জোর করে ধর্ষণ করেন। এরপর ছাত্রীটি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে কয়েকদিন আগে কৌশলে ওষুধ খাইয়ে তার গর্ভপাত করানো হয়। এমন অবস্থায় মেয়েটি অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এদিকে, ছাত্রী ধর্ষণ ও গর্ভপাত করানোর বিষযয়টি জানাজানি হওয়ার পর থেকে অভিযুক্ত মাদরাসা শিক্ষক আবদুল হালিম নেওয়াজ সাগর পলাতক রয়েছেন। খবর পেয়ে গত রবিবার বিকালে নেত্রকোনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) মোহাম্মদ শাহজাহান মিয়া, কেন্দুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ রাশেদুজ্জামান ও স্থানীয় পেমই পুলিশ তদন্তকেন্দ্রের পরিদর্শক উজায়ের আল-মাহমুদ আদনান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
আসামি মাদরাসাশিক্ষক পলাতক থাকায় তার কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। এই বিষয় নিয়ে জানতে চাইলে কেন্দুয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) হাবিবুল্লাহ খান জানান, এই ঘটনায় অভিযুক্ত মাদরাসাশিক্ষকের বিরুদ্ধে থানায় মামলা হয়েছে। তাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
Development by: webnewsdesign.com