সোহাগ-শারমিন দম্পতির ঝগড়া ছিল তুঙ্গে। সেই ঝগড়ার জেরে বাবা বাড়ি চলে যান স্ত্রী শারমিন। পরে দুই পরিবার বসে তাদের ঝগড়া মীমাংসা করেন। এরপর স্ত্রীকে আনতে শ্বশুর বাড়িতে যান সোহাগ হোসেন। আর সেখানে যাওয়ার পর স্বামীর পুরুষাঙ্গ কেটে ফেলেন স্ত্রী শারমিন।
বুধবার দুপুরে ঝিনাইদহের মহেশপুরের জাগুসা গ্রামে এমন আলোচিত ঘটনা ঘটেছে। ঘটনার পর আশঙ্কাজনক সোহাগকে মহেশপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
পরে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ভুক্তভোগী মহেশপুরের যাদবপুর উত্তরপাড়ার শফিউল্লাহ ওরফে পান্নুর ছেলে। অভিযুক্ত স্ত্রীর পুরো নাম শারমিন আক্তার শিলা।
আহত সোহাগ জানান, স্ত্রী শারমিনের সঙ্গে অন্য একটি ছেলের প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে। যে কারণে প্রায়ই তাদের মধ্যে ঝগড়া হতো। বুধবার তাকে নিতে খবর দিলে তিনি শ্বশুর বাড়িতে যান। সেখানে সুযোগ বুঝে ধারালো বটি দিয়ে তার পুরুষাঙ্গ কেটে দেন শারমিন।
মহেশপুর থানার ওসি মোহাম্মদ মোর্শেদ হোসেন খান জানান, সোহাগকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় সোহাগের স্ত্রী শারমিনকে আটক করা হয়েছে। এছাড়া ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ ধারালো বটি ও বিচ্ছিন্ন পুরুষাঙ্গটি উদ্ধার করেছে।
Development by: webnewsdesign.com