ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল বিশ্বরোড থেকে শুরু করে বিজয়নগর উপজেলার সাতবর্গ পর্যন্ত মহাসড়কে অবাধে চলছে শাহজালাল (রঃ) এন্টারপ্রাইজ সিএনজি চালিত অটোরিকশা। মহাসড়কে থ্রি-হুইলার চলাচলে মহামান্য হাইকোর্ট ও সরকারের পক্ষ থেকে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে হাইওয়ে পুলিশের সামনে দিয়ে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে এসব যান।
এদিকে মহাসড়কের পাশে হাইওয়ে থানার সামনে দিয়ে থ্রি হুইলার চলেও কিছু করার নেই যেন। শুধু এই সংক্রান্ত সংবাদ প্রকাশিত হলে কয়েকদিন হাইওয়ে পুলিশ লোক দেখানো অভিযান পরিচালনা করা হয়৷ কয়েকদিন পর আবার আগের মতোই চলে মহাসড়কে থ্রি হুইলার।
সরেজমিনে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে দেখা যায়, মহাসড়কে বেপরোয়া ভাবে চলছে বিশটা উপরে শাহজালাল(রঃ)এন্টার প্রাইজ সিএনজি চালিত অটোরিকশা যানগুলো। প্রথেক গাড়ি গুলোতে শাহজালাল(রঃ)এন্টার প্রাইজ নাম একরকম হলোও নিচে মালিকের নাম বিভিন্ন রকম,যেমন, নুরুল হুদা /তাসলিম/নুরুল হুদা /বেলাল /নুরুল হুদা। এই ভাবে বিশটা উপরে গাড়ি সাথে দেখা ও ড্রাইভারের সাথে কথা হয়।এসময় ড্রাইভারকে জিজ্ঞেস করলে বলেন। শাহবাজপুরে সোহেলের গাড়ি, গিয়াসে গাড়ি, নুরুল হুদা গাড়ি, তাসলিম মিয়া গাড়ি, বেলাল মিয়ার গাড়ি, রিয়াজ উদ্দিন গাড়িসহ এই ভাবে বলতে থাকে।
এ সময় অন্য সিএনজি চালকরা বলেন। সাংবাদিক নুরুল হুদা /তাসলিম/ বেলাল মিয়া/ রিয়াজ উদ্দিন গাড়িসহ প্রকাশ হাইওয়ে পুলিশের সামনে দিয়ে চলাচল করে ওদের গাড়ি দড়ে না আমাদের গাড়ি আটক করে, সরকার যদি আইন করে থাকে তাহলে সবার জন্য সমান হবে। এ আইন শুধু আমাদের মত নির্রহ মানুষের জন্য নাকি। তারা কি এসব সিএনজির বৈধ মালিক, হাইওয়েতে সিএনজি চলার পারমিশন আছে কি।
চালকরা আরও বলেন, কিছুদিন আগে আমার সিএনজি আর শাহজালাল (রঃ)এন্টারপ্রাইজ নামে এক সিএনজি এক সাথে মহাসড়কে দিকে যাচ্ছিলাম হঠাৎ সরাইল উপজেলা বাড়িউড়া নামকস্থানে হাইওয়ে পুলিশে আমাদের গাড়ি দেখে দাঁড় করায়, তারপর আমার সাথে থাকা সিএনজি শাহজালাল (রঃ)এন্টারপ্রাইজ নাম দেখে চেড়ে দেয়, আমি বললাম স্যার ওই গাড়ি চেড়ে দিলেন কেনো তা বলার সাথে সাথে আমার গাড়ি ডাম্পিং নিয়ে চলে যায় তারপর মামলা দিয়ে দেয়। মামলা ভাঙ্গিয়ে আনতে হয়েছে।
ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের ব্রাহ্মণবাড়িয়া আশুগঞ্জ থেকে বিজয়নগরের সাতবর্গ পর্যন্ত ৩৪ কিলোমিটার ও কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের বিশ্বরোড মোড়ে থেকে কুটি চৌমুহনীর কালামোড়া ব্রীজ পর্যন্ত ৪৩ কিলোমিটার খাঁটিহাতা হাইওয়ে থানার অধিনস্থ। এই সড়ক গুলোতে অবাধে যাতায়াত করছে সিএনজি চালিত অটো রিকশা, ব্যাটারি চালিত অটো রিকশা ও রিকশা। মহাসড়ক গুলোর পাশেই রয়েছে অবৈধ সিএনজি স্ট্যান্ড। প্রতিদিন ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের আশুগঞ্জ থেকে সরাইল বিশ্বরোড মোড়ে, সরাইল বিশ্বরোড থেকে বিজয়নগরের চান্দুরা, চান্দুরা থেকে সাতবর্গ বাস টার্মিনাল পর্যন্ত থ্রি হুইলার যাতায়াত করছে।
মহাসড়কে অবৈধ ভাবে সিএনজি যাতায়াতের ফলে প্রতিনিয়ত দূর্ঘটনা ঘটে। ঝুঁকিতে থাকে এসব সিএনজিতে থাকা যাত্রীরা। এছাড়াও এসব মহাসড়কে যাতায়াতকারী দ্রুতগামী বাস ও ট্রাক দূর্ঘটনায় পড়ে।
এসব থ্রি হুইলার মহাসড়কে বন্ধ করতে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বাস-মিনিবাস মালিক সমিতি ও সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়ন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে খাঁটিহাতা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহবুবুর রহমান বলেন,মহাসড়কে থ্রি-হুইলার চলাচল করার বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। আমরা এই বিষয়ে ব্যবস্থা নিচ্ছি। অনেক থ্রি হুইলারকে মামলা দিচ্ছি। যতক্ষণ পর্যন্ত তারা জরিমানা আদায় না করে, ততক্ষণ পর্যন্ত আমরা থ্রি-হুইলারগুলো আটক রেখে ব্যবস্থা নিচ্ছি।
বাংলাদেশ মিডিয়া/এসআরসি-০৯
Development by: webnewsdesign.com