বিশ্বকাপে ৩৬ বছর পর নকআউট পর্বে উঠেছে মরক্কো। তাও বেলজিয়াম-ক্রোয়েশিয়ার মতো গ্রুপে অপরাজিত থেকে। কাতার বিশ্বকাপে মরক্কানদের স্বপ্নটা আরও বড় করলেন দলটির কোচ ওয়ালিদ রেগরাগি। বললেন, এখানে না থেমে নজর দিতে হবে এখন বিশ্বকাপ জয়ের দিকে।
‘ই’ গ্রুপে মরক্কো তাদের পথচলা শুরু করেছিল ২০১৮ বিশ্বকাপের রানার্সআপ ক্রোয়েশিয়ার সঙ্গে গোলশূন্য ড্র দিয়ে। পরের ম্যাচে তারা আসরের সেরা অঘটনের একটির জন্ম দিয়ে ২-০ গোলে হারিয়ে দেয় শক্তিশালী বেলজিয়ামকে। এতে তাদের শেষ ষোলোয় খেলার ভিত শক্ত হয়। তা পূর্ণতা পায় শেষ ম্যাচে কানাডাকে ২-১ গোলে হারানোর মধ্য দিয়ে। ৭ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয় আফ্রিকার দেশটি। এর আগে সবশেষ ১৯৮৬ আসরে নকআউট পর্বে খেলা মরক্কোর জন্য কঠিন একটি গ্রুপ থেকে এমন সাফল্য অনেক বড় পাওয়া।
কোয়ার্টার-ফাইনালে যাওয়ার লড়াইয়ে এবার তাদের সামনে ফেভারিট দলগুলোর একটি স্পেন। গ্রুপ পর্বের উজ্জীবিত পারফরম্যান্স মরক্কো দলের আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে দিয়েছে অনেক।
এখন তাই প্রতিপক্ষকে নিয়ে না ভেবে তারাও নিজেদের শিরোপার দাবিদার হিসেবে দেখছে। আফ্রিকার কোনো দল এখনও পর্যন্ত বিশ্বকাপের সেমিফাইনালেই উঠতে পারেনি। মরক্কো এবার সব ধাপ পেরিয়ে পরতে চায় বিশ্ব সেরার মুকুট। কোচ রেগরাগি বললেন, এই অঞ্চলের দলগুলোর জন্য নতুন মানদণ্ড বেঁধে দিতে চূড়ান্ত সাফল্যের দিকে চোখ তাদের। মরক্কোর কোচ বলেন, ‘আমরা নিজেদের জন্য একটা লক্ষ্য নির্ধারণ করেছিলাম- আমরা গ্রুপ পর্বের বাধা পার করার জন্য নিজেদের উজাড় করে দিতে চেয়েছিলাম। এখন আমরা আকাশ ছোঁয়ার স্বপ্ন দেখছি, আমরা এখানেই থামবো না।
আমরা কঠিন একটা দল হতে চাই, যাদের হারানো কঠিন। তাহলে ট্রফি জয়ের স্বপ্ন দেখবো না কেন?’ রেগরাগি বলেন, ‘আমাদের আফ্রিকান দলগুলোর এমন লক্ষ্যই নির্ধারণ করা দরকার। আমরা ম্যাচ ধরে ধরে এগিয়ে যাবো, (যা পেয়েছি তাতে) আমরা উচ্ছ্বাসে ভেসে যাবো না। আমরা যদি ভালোভাবে লড়াই করি, তাহলে আমাদের এগিয়ে যাওয়ার দারুণ সম্ভাবনা আছে।
Development by: webnewsdesign.com