করোনাভাইরাস মহামারীর কারণে এবার পূজামণ্ডপগুলোর নিরাপত্তায় স্থায়ীভাবে পুলিশ ও আনসার মোতায়েন না করার সিদ্ধান্তে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে চট্টগ্রাম মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদ।
সোমবার (১৯ অক্টোবর) সকালে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে পূজা উদযাপন পরিষদের নেতারা এ কথা জানান।
এতে লিখিত বক্তব্যে পরিষদের সভাপতি চন্দন তালুকদার বলেন, মৌলবাদী গোষ্ঠীর উত্থান সরকার আপাতত সামাল দিতে পারলেও তাদের গোপন কার্যক্রম এখনও চলছে। প্রতিনিয়ত ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের নানাভাবে নির্যাতনের খবর পত্রিকায় পাওয়া যাচ্ছে। এতে সনাতন সম্প্রদায়ের লোকজন এমনিতেই শংকিত।
তিনি আরও বলেন, সরকারের আরেকটি সিদ্ধান্ত নিয়ে এই শঙ্কা আরও বেড়েছে। প্রতিবছর পূজামণ্ডপে স্থায়ীভাবে ৪ থেকে ১০ জন পুলিশ-আনসার এবং ৫ থেকে ১০ জন গ্রাম পুলিশ নিয়োগ দেওয়া হত। কিন্তু এবার সেটা রদ করে শুধু টহল পুলিশের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এতে পূজা কমিটিগুলো মণ্ডপের সার্বিক নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে। সনাতন সম্প্রদায়ের জনগণ আরও শংকিত।
সংবাদ সম্মেলনে পরিষদের পক্ষ থেকে বলা হয়, করোনাকাল হওয়ায় আলোকসজ্জা-মঞ্চসজ্জাসহ ব্যয়বহুল আয়োজন বাদ দিয়ে সেই অর্থ যেন গরীব-দুঃস্থকে দেওয়া হয়। প্রত্যেক মণ্ডপে যেন স্বাস্থ্যসুরক্ষার ব্যবস্থা করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনকে দুর্গোৎসবকে পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদা দেওয়া, চার দিনের সাধারণ ছুটি ঘোষণা, সেনা-নৌ-বিমানবাহিনী, বিজিবি, পুলিশসহ সকল সরকারি ও আধা সরকারি প্রতিষ্ঠানে আনুপাতিক হারে সংখ্যালঘুদের নিয়োগ দেওয়াসহ ১২ দফা দাবি জানানো হয়েছে।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে পূজামণ্ডপে কোনোভাবেই লোকসমাগম যাতে বেশি না হয়, সেদিকে লক্ষ্য রাখার জন্য মহানগরীর সব আয়োজককে অনুরোধ করেছে চট্টগ্রাম মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদ।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক প্রকাশ দাশ অসিত, সাবেক সভাপতি সাধন ধর, বিমল দে, অরবিন্দ পাল অরুণ, সহ-সভাপতি আশীষ ভট্টাচার্য, রানা বিশ্বাস ও সুমন দেবনাথ।
প্রসঙ্গত, আগামী ২২ অক্টোবর মহাষষ্ঠী তিথিতে বোধন ও দেবী বন্দনার মধ্য দিয়ে দুর্গাপূজা শুরু হবে। পরদিন সপ্তমী তিথিতে পূজার মধ্য দিয়ে শুরু হবে মূল আয়োজন।
এবার চট্টগ্রাম মহানগরীর ১৬টি থানায় ঘটপূজাসহ ২৭৩টি মণ্ডপে দুর্গাপূজা হবে। ২৬ অক্টোবর দশমীতে প্রতিবছরের মতো পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতে প্রতিমা বিসর্জন অনুষ্ঠান হবে।
Development by: webnewsdesign.com