ভোলার মনপুরায় অজ্ঞাত রোগে মরে যাচ্ছে কুকুর। একের পর এক কুকুর মারা যাওয়ায় স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
গত ১০-১২ দিনে উপজেলার ৪টি ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানে গৃহপালিত কুকুরসহ শতাধিক বেওয়ারিশ কুকুর মারা গেছে।
অনেকের মতে দুই মাস আগে প্রাণিসম্পদ কার্যালয় থেকে গৃহপালিত ও বেওয়ারিশ কুকুর ধরে ভ্যাকসিন দেয়ার পর এ ঘটনা ঘটছে।
এ ঘটনায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানালেন উপজেলা ভেটেরিনারি সার্জন।
মনপুরা ছমেদপুর বাংলাবাজার মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক অনুপম দাস বলেন, আমি ২টি কুকুরের বাচ্চা সংগ্রহ করে বাড়িতে পালছিলাম। ভ্যাকসিন দেয়ার ১৫ দিন পর কুকুর দুটো অসুস্থ হয়ে খাওয়া-দাওয়া বন্ধ করে দিলে ২/১ দিনের ব্যবধানে কুকুরগুলো মারা গেছে।
এ ছাড়াও হাজীরহাট ইউনিয়নের ব্যবসায়ী মনির, শাজাহান, চৌধুরী বাজারের ফারুক, কামাল জানান, ভ্যাকসিন দেয়ার ১৫-২০ দিন পর একের পর এক বাজারের বেওয়ারিশ কুকুরগুলো মরে গেছে।
জানা গেছে, হাজীরহাট ইউনিয়নের বাঁধেরহাট এলাকার বাসিন্দা ইব্রাহীম, সাধন স্বর্ণকার এবং মনপুরা সরকারি ডিগ্রি কলেজের প্রভাষক মো. হুমায়ুন কবিরের পালিত কুকুরও মারা গেছে।
এ ছাড়াও চরজ্ঞান এলাকার ইউছুপ, বেচু মিয়া এবং চরযতিন এলাকার আ. রহমান বিপ্লব ও মোস্তফা হাজীর কুকুর মারা গেছে। এদের সবার কুকুর ভ্যাকসিন দেয়ার পরই অজ্ঞাত রোগে মারা যায়।
এ ব্যাপারে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ও ভেটেরিনারি সার্জন ডা. আবদুল কুদ্দুস বলেন, মহাখালীর সংক্রামক ব্যাধি হাসপাতাল থেকে লোক এসে কুকুর ধরে অ্যান্টি-রেভিস ভ্যাকসিন দেয়। কী কারণে কুকুর মরে যাচ্ছে তা এ মুহূর্তে বলা যাচ্ছে না। মরে যাওয়া কুকুর সংগ্রহ করে পরীক্ষা করে দেখা হবে।
Development by: webnewsdesign.com