ভারি বৃষ্টিতে সিলেট নগরীতে জলাবদ্ধতা 

বুধবার, ০৭ জুলাই ২০২১ | ২:৫৭ অপরাহ্ণ

ভারি বৃষ্টিতে সিলেট নগরীতে জলাবদ্ধতা 
apps

সিলেটে মঙ্গলবার সন্ধ্যার পর থেকেই শুরু হয় বৃষ্টি। মধ্যরাতের বৃষ্টির বেগ বাড়ে। ঘন্টাখানেক চলে ভারি বৃষ্টি। এমন বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে সিলেট নগরের অনেক এলাকায়।

সিলেট নগরের জলাবদ্ধতা নিরসনে গত ৯ বছরে প্রায় ৫২৩ কোটি টাকা ব্যয় করেছে সিটি করপােরেশন। তবু জলাবদ্ধতার যন্ত্রণা থেকে নিস্তার পাচ্ছে না নগরী। বরং ঘন্টাখানেকের ভারি বৃষ্টিতেই মঙ্গলবার রাতে জলগম্ন হয়ে পড়ে নগরী।

মঙ্গলবা্র রাতে নগরের দরগাহ মহল্লা, পাঠানটুলা, লল্ডনী রোড, সুবিদবাজার, ইলেকট্রিক সাপ্লাই, জামতলা, তালতলা, শাহজালাল উপশহর, তেরোরতন, কুমারপাড়া, জেল রোড, বারুতখানা, মিরাবাজার, শিবগঞ্জসহ বিভিন্ন সড়ক ঘুরে দেখা যায়, বৃষ্টিতে জলমগ্ন হয়ে পড়েছে এসব সড়ক। কোথাও হাঁটু পানিও জমে গেছে। আবার এসব এলাকার অনেক বাসা বাড়িতেও ঢুকে পড়েছে পানি। ফলে মধ্যরাতে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে এসব এলাকার বাসিন্দাদের।

রাতে জরুরী প্রয়োজনে বাসার বাইরে বের হয়েছিলেন মিরাবাজার এলাকার বাসিন্দা শরিফ আহমদ। তিনি বলেন, বৃষ্টির কারণে দীর্ঘক্ষণ বৃষ্টিতে আটকে ছিলাম। অনেক রাত হয়ে যাওয়ায় একপর্যায়ে বৃষ্টিতে ভিজে হেঁটেই রওয়ানা দেই। আর বারুতখানা থেকে মিরাবাজার পর্যন্ত আসতে হয়েছে রীতিমত সাঁতার দিয়ে।

তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, প্রতি বছর সিটি করপোরেশন নগরের ছড়া-খাল উদ্ধার ও জলাবদ্ধতা নিরসনে শত শত কোটি টাকা ব্যয় করে। তবু কিছুক্ষণ বৃষ্টি হলেই জলাবদ্ধতা দেখা দেয় কেনো।

এদিকে, আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে সিলেটের এই বৃষ্টি অব্যাহত থাকতে পারে। ফলে দুর্ভোগ আরও বাড়ার শঙ্কা নগরবাসীর।

তবে সম্প্রতি একটি গণমাধ্যমকে জলাবদ্ধতা প্রসঙ্গে সিসিকের প্রধান প্রকৌশলী নুর আজিজুর রহমান জানান, অধিক বৃষ্টি হলে নগরীর নিম্নাঞ্চলে পানি জমে। ড্রেনের ছিদ্রে (গ্রেটিংস) আবর্জনা জমে পানি প্রবাহে বাধা সৃষ্টি করে। ফলে সাময়িক জলাবদ্ধতা দেখা দেয়। যত্রতত্র আবর্জনা ছড়া, খাল, ড্রেনে ফেলার কারণে বৃষ্টির পানি চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয়। এ সমস্যা সমাধানে প্রধান প্রধান ছড়ার সঙ্গে নদীর সংযোগ পয়েন্টে পাম্পিং স্টেশন নির্মাণ করা হবে। নদী থেকে ছড়ায় পানি বেকফ্লো রোধকল্পে স্লুইস গেট ও পাহাড়/টিলা থেকে সৃষ্ট ছড়ার উৎসমুখে বালু ফাঁদ নির্মাণ করা হবে। ফলে পাহাড়ি ঢলের সঙ্গে আসা বালু উৎসমুখ থেকে অপসারণ করে ছড়া, খালের স্বাভাবিক নাব্য অব্যাহত রাখা সম্ভব।

Development by: webnewsdesign.com