বড়লেখায় দোকানে চুরি: মালামাল উদ্ধারসহ ৫ চোর জেল হাজতে

রবিবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২০ | ২:৩৬ অপরাহ্ণ

বড়লেখায় দোকানে চুরি: মালামাল উদ্ধারসহ ৫ চোর জেল হাজতে
apps

মৌলভীবাজারের বড়লেখায় রাতের আধাঁরে দোকান ঘর থেকে চুরি যাওয়া কম্পিউটার ও পাঁচটি মুঠোফোন উদ্ধারসহ ৫ চুরকে গ্রেফতার করেছে বড়লেখা থানা পুলিশ। বৃহস্পতিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) রাতে তাদেরকে উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে গ্রেফতার করাহয়। শুক্রবার আদালতে প্রেরণ করলে বিজ্ঞ আদালত তাদেরকে কারাগারে পাঠিয়েছন।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন- উপজেলার সদর ইউনিয়নের গঙ্গারজল গ্রামের শফিক উদ্দিনের ছেলে জহির আহমদ (২১), একই এলাকার আব্দুল খালিকের ছেলে সুজন আহমদ (২২), জফরপুর গ্রামের মৃত মনির আলীর ছেলে শফিকুল ইসলাম (৪০),তালিমপুর ইউনিয়নের তালিমপুর গ্রামের ফজলুর রহমানের ছেলে হালিমুর রশীদ হালিম (২০),ও নিজবাহাদুরপুর ইউনিয়নের চান্দগ্রামের মৃত মখদ্দছ আলীর ছেলে সাইদুল ইসলাম (২২)।

 

পুলিশ ও অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে,গত ১৪ সেপ্টেম্বর সোমবার দিবাগত রাতে বড়লেখা ডিগ্রি কলেজ এলাকার উপজেলা চেয়ারম্যান সোয়েব আহমদের মার্কেটের ব্যবসায়ী আশীষ চন্দ্র নাথের অন্নপূর্ণা এন্ড আঁখি ফটোস্ট্যাট ও কম্পিউটারের দোকানে চোরেরা তালা ভেঙে একটি ডেক্সটপ কম্পিউটার,বিভিন্ন ব্র্যান্ডের পাঁচটি মুঠোফোনসহ ক্যাশবক্স ভেঙে নগদ টাকা নিয়ে যায়। পরদিন ১৫ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার ভোরে স্থানীয়রা দোকান মালিক আশীষ চন্দ্র নাথকে জানান তার দোকানের শার্টার খোলা। খবরপেয়ে এসে দেখেন তার দোকানের তালা ভাঙা ও শার্টার খোলা। ভেতরে প্রবেশ করে দেখেন দোকানের একটি ডেক্সটপ কম্পিউটার, বিভিন্ন ব্র্যান্ডের পাঁচটি মুঠোফোন ও ক্যাশবক্স থাকা নগদ রাখা ৪ হাজার ৮০০ টাকা নেই। এই ঘটনায় তিনি ওইদিনই থানায় লিখিত অভিযোগ করেন।

অভিযোগের প্রেক্ষিতে ঘটনাটি তদন্তে নামে পুলিশ। গোপন তথ্যের ভিত্তিতে বড়লেখা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সুব্রত কুমার দাস ও সহকারি পুলিশ পরিদর্শক (এএসআই) কামাল হোসেন গত বৃহস্পতিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় চুরির সঙ্গে জড়িত হালিমুর রশীদ হালিমকে গ্রেফতার করেন। পরে তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে একে একে জহির আহমদ, সুজন আহমদ ও শফিকুল ইসলামকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের দেওয়া তথ্যমতে চুরি হওয়া কম্পিউটার ও মুঠোফোন চান্দগ্রাম বাজারের আরিয়ান টেলিকম থেকে উদ্ধার এবং দোকান মালিক সাইদুল ইসলামকে গ্রেফতার করা হয়।

বড়লেখা থানার (এসআই) সুব্রত কুমার দাস শুক্রবার রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, চুরির ঘটনায় দোকান মালিক থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। এর প্রেক্ষিতে ঘটনাটি তদন্তে নেমে গোপন তথ্যের ভিত্তিতে প্রথমে হালিমকে গ্রেফতার করা হয়। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ভিবিন্ন এলাকা থেকে পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। শুক্রবার চুরির কথা স্বীকার করে হালিমুর রশীদ হালিম ও জহির আহমদ আদালতে জবানবন্দি দিয়েছে।পরে আদালত তাদেরকে কারাগারে পাঠিয়েছেন।

Development by: webnewsdesign.com