ব্যাংকের টাকা নিয়ে আইপিএলে বাজি ধরেন এ ব্যাংক কর্মকর্তা

মঙ্গলবার, ২৮ জানুয়ারি ২০২০ | ৮:৩৬ অপরাহ্ণ

ব্যাংকের টাকা নিয়ে আইপিএলে বাজি ধরেন এ ব্যাংক কর্মকর্তা
apps

প্রায় দুই বছর ধরে অনলাইন বাজিতে ৩ কোটি ৪৫ লাখ টাকা হেরেছেন প্রিমিয়ার ব্যাংকের রাজশাহী শাখার এক কর্মকর্তা। বিভিন্ন সময় এ টাকা তিনি সরিয়েছেন ব্যাংকের ভল্ট থেকেই। শেষ পর্যন্ত ধরাও পড়েছেন তিনি।

অভিযুক্ত ওই ব্যাংক কর্মকর্তা হলেন, নগরীর সাগরপাড়া এলাকার নজরুল ইসলামের ছেলে শামসুল ইসলাম ওরফে ফয়সাল। তিনি ব্যাংকের রাজশাহী শাখার ক্যাশ ইনচার্জ ছিলেন।

 

 

 

 

অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে গত ২৪ জানুয়ারি দিবাগত রাতে তার বিরুদ্ধে নগরীর বোয়ালিয়া মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন প্রিমিয়ার ব্যাংকের জোনাল ম্যানেজার সেলিম রেজা খান। গ্রেফতারের পর ওই মামলায় তাকে তিন দিনের রিমাণ্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। রিমাণ্ড শেষে বুধবার তাকে আদালতে তোলার কথা।

পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে অভিযুক্ত শামসুল ইসলাম ওরফে ফয়সাল জানিয়েছেন, ব্যাংকটিতে সব সময় প্রায় ১৫ কোটি টাকা থাকতো। গত দুই বছর ধরে তিনি টাকাগুলো ব্যাংক থেকে সরাতে থাকেন। ওই টাকা তিনি আইপিএলের বিভিন্ন খেলায় অনলাইনে বাজিতে লগ্নি করতেন। এতে কখনও কখনও জিতলেও প্রায়ই হারতেন। টাকা রাখার ভল্টের সামনের লাইন ঠিক রেখে পেছনের লাইন থেকে তিনি টাকাগুলো সরাতেন। এতে ব্যাংকের কোনো কর্মকর্তার সন্দেহ হতো না। কিন্তু গত বৃহস্পতিবার ভল্টে রাখা সমস্ত টাকা গণনার পর ৩ কোটি ৪৫ লাখ টাকা কম পাওয়া যায়। এ সময় তিনি টাকা সরানোর কথা স্বীকার করেন।

মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, সন্ধ্যা ছয়টার দিকে দিনের লেনদেন শেষে ক্যাশ মিলাতে গিয়ে তারা পৌনে তিন কোটি টাকার হিসাবে মিলাতে পারেননি। তখনই ক্যাশ ইনচার্জ শামসুল ইসলামকে তারা ধরে বসেন। রাত ১২টার দিকে তারা ওই কর্মকর্তাকে থানায় নিয়ে যান।

নগরীর বোয়ালিয়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নিবারণ চন্দ্র বমন বলেন, তারা রাত ১২টার দিকে শামসুল ইসলামকে থানায় নিয়ে আসেন। কথাবার্তা বলে মামলা করতে রাত দেড়টা বেজে যায়। থানায় আনার পর তিনি টাকা নেয়ার কথা স্বীকার করেন।

ওই সময় তিনি দাবি করেন, ব্যাংক থেকে ২ কোটি টাকা দুই বন্ধুকে দিয়েছেন। আর ১ কোটি টাকা নিজের একটি প্রকল্পের কিস্তি দিয়েছেন। তবে রিমাণ্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদকালে তিনি জানান, পুরো টাকা তিনি অনলাইন জুয়াই হেরে গেছেন। এখন সেই টাকা ফিরিয়ে দেয়ার প্রতিশ্রুতিও দিচ্ছেন। রিমাণ্ড শেষে তার বিরুদ্ধে আইনত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Development by: webnewsdesign.com