“বৈদ্যুতিক দুর্ঘটনা রোধে প্রয়োজনে বিদ্যুৎ অফিসের সহায়তা নিন”

শনিবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২০ | ৯:১১ অপরাহ্ণ

“বৈদ্যুতিক দুর্ঘটনা রোধে প্রয়োজনে বিদ্যুৎ অফিসের সহায়তা নিন”
apps

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, ‌গুনগত মানসম্পন্ন ও বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি ব্যবহার করতে গ্রাহকদের উদ্বুদ্ধ করতে হবে। অনুমোদিত লোডের অতিরিক্ত বিদ্যুৎ, ব্যবহার পরিহার করা উচিৎ। বৈদ্যুতিক নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ এবং বৈদ্যুতিক দুর্ঘটনা পরিহারকল্পে প্রয়োজনে বিদ্যুতের অফিসগুলোর সহায়তা নেওয়া যেতে পারে। বিদ্যুতের অফিসগুলো গ্রাহকদের সেবা দিতে সর্বদা প্রস্তুত রয়েছে।

আজ শনিবার ভাচর্য়ালি ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কম্পানি লি. এর উদ্যোগে নড়াইলে ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কম্পানির এলাকায় স্মার্ট প্রি-পেমেন্ট মিটার স্থাপনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ সব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘স্মার্ট প্রি-পেমেন্ট মিটারের সুবিধাগুলো গ্রাহকদের অভিহিত করুন। স্মার্ট প্রি-পেমেন্ট মিটার ব্যবহারকারী পরিবারের বাজেট অনুযায়ী বিদ্যুৎ, ব্যবহারের সুবিধা গ্রহণ করতে পারবেন এবং মাসিক বিল পরিশোধ খুবই সহজসাধ্য। সরকার নির্ধারিত সময়েই নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ দেবে। পর্যায়ক্রমে সারা দেশেই বিদ্যুতের তার ভূগর্ভস্থ করা হবে।

নড়াইলে ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কম্পানি লি. এর বিদ্যুৎ গ্রাহক সংখ্যা ১৫,৮০০টি, প্রাথমিকভাবে স্মার্ট প্রি-পেইড মিটার স্থাপন করা হবে ৯,৯৯৮টি। প্রি-পেমেন্ট মিটারিং পদ্ধতিতে মিটার ব্যাল্যান্স শেষ হয়ে গেলেও তাত্ক্ষণিক ভাবে মিটার হতে ১০০ টাকা পর্যন্ত ইমারজেন্সি ব্যাল্যান্স নেওয়ার ব্যবস্থা থাকায় বিদ্যুৎ বন্ধ হওয়ার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। সাপ্তাহিক ছুটি (শুক্র ও শনিবার), সরকারি ছুটির দিন এবং অফিস সময়ের পর বিকাল ৪:০০টা থেকে পরদিন সকাল ১০.০০টা পর্যন্ত মিটারের ব্যাল্যান্স শেষ হলেও মিটার বন্ধ হবে না। গ্রাহকগণ নিট বিদ্যুৎ বিলের ওপর ১% হারে রিবেট সুবিধা প্রাপ্ত হবেন। বিদ্যুৎ বিল বকেয়া হবে না, ফলে লাইন কাটার টেনশন থাকবে না এবং অতিরিক্ত ডিসি/আরসি ফি ও ৫% বিলম্ব মাসুল প্রযোজ্য হবে না। প্রি-পেমেন্ট মিটারের মাধ্যমে নতুন সংযোগ প্রদানের ক্ষেত্রে নিরাপত্তা জামানত গ্রহণ করা হবে না। গ্রাহক তার মিটারের বিদ্যুৎ ব্যবহার ও অবশষ্টি ব্যলেন্স যেকোনো সময় দেখতে পারবেন। প্রি-পেইড মিটার স্থাপনের সময় গ্রাহকের নিকট থেকে কোনো অর্থ আদায় করা হবে না। সকল বিদ্যুৎ বিতরণী সংস্থা/কম্পানিতে সিঙ্গেল ফেজ মিটারের মাসিক ভাড়া ৪০ (চল্লিশ) টাকা হিসেবে বিদ্যুৎ বিলের সাথে সমন্বয় করা হবে।

নড়াইলের জেলা প্রশাসক আনজুমান আরার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মাঝে সংসদ সদস্য মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা, বিদ্যুৎ সচিব ড. সুলতান আহমেদ ও ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কম্পানি লি. এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. শফিক উদ্দিন সংযুক্ত থেকে বক্তব্য রাখেন।

Development by: webnewsdesign.com