বিশ্বনাথে কাজের মেয়েকে ধর্ষণ: মাতব্বর ও মোয়াজ্জিন গ্রেফতার

ধর্ষক ইমাম পলাতক

বৃহস্পতিবার, ০১ অক্টোবর ২০২০ | ৭:৩৫ অপরাহ্ণ

বিশ্বনাথে কাজের মেয়েকে ধর্ষণ: মাতব্বর ও মোয়াজ্জিন গ্রেফতার
apps

বিশ্বনাথে এবার এক অসহায় পরিবারের স্বল্প বাকপ্রতিবন্ধি ও সরল সহজ প্রকৃতির ১৬ বছর বয়সী কাজের মেয়েকে ধর্ষণ করেছে মসজিদের ইমাম। মঙ্গলবার (২৯ সেপ্টেম্বর) রাতে খাজাঞ্চি ইউনিয়নের ইসলামপুর গ্রামের আব্দুস শহিদের বাড়িতে এই ঘটনাটি ঘটেছে।

দীর্ঘ প্রায় পনের বছর ধরে আব্দুস শহিদের বাড়িতে লজিংয়ে থেকে ইসলামপুর নতুন জামে মসজিদে প্রায় একবছর ধরে ইমামতি করে আসছিলেন ধর্ষক ইমাম রুহুল আমিন শাহার (৩৫)। তিনি সুনামগঞ্জ জেলার দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলার চন্দ্রপুর গ্রামের আফাজ উদ্দিনের পুত্র। আর একই বাড়িতে প্রায় দু’বছর ধরে প্রতিবেশী আব্দুস শহিদের ঘরে কাজের মেয়ে হিসেবে কাজ করে আসছেন একই গ্রামের মৃত মৌরশ আলীর ১৬ বছর বয়সি প্রতিবন্ধি মেয়ে ওই ধর্ষিতা। মঙ্গলবার (২৯ সেপ্টেম্বর) রাতে কাজ শেষে বাড়ি ফেরার পথে আব্দুস শহিদের আঙ্গিনা থেকে এই প্রতিবন্ধি মেয়েকে ধরে নিয়ে তার শোয়ার ঘরে জোপূর্বক ধর্ষণ করে রুহুল আমিন শাহার।

বৃহস্পতিবার (১ অক্টোবর) এমন ঘটনার বিবরণ উল্লেখ পুর্বক ইমাম রুহুল আমিন শাহারকে প্রধান আসামি করে থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেছেন ধর্ষিতার বড় বোন দিলারা বেগম (২৭)। মামলা নং-(০১)। সেই সাথে বিষয়টি গ্রামের মাতব্বররা মিমাংশার কথা বলে কৌশলে ধর্ষক ইমামকে পালিয়ে যেতে সহায়তা করায় ওই মামলায় আরও ৬জনকে আসামি করা হয়েছে। তারা হচ্ছেন- ইসলামপুর গ্রামের মখদ্দছ আলী (৬৩), চান্দ আলী (৫৫), লিয়াকত আলী (৫০), আব্দুস শহিদ (৫২) ও সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার চন্ডীপুর গ্রামের মাওলানা আরিফ উদ্দিনের পুত্র মাহফুজ বিন আরিফ (১৯)। মামলায় অজ্ঞাতনামা রাখা হয়েছে আরও ৪/৫জনকে।

তবে এঘটনায় প্রধান আসমিকে গ্রেফতার করতে না পারলেও এজাহারনামীয় মখদ্দছ আলী ও মসজিদের মোয়াজ্জিন মাহফুজ বিন আরিফ এই দু’জনকে গ্রেফতার করেছে থানা পুলিশ। বৃহস্পতিবার দুপুরে তাদেরকে সিলেট কোর্টে প্রেরণ করা হয়েছে।

এ ব্যপারে জানতে চাইলে থানার ওসি শামীম মুসা বলেন- প্রধান আসামী ইমামসহ বাকি আসামিদের ধরতে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে। ধর্ষিতাকে চিকিৎসার জন্য সিলেট ওসমানিতে ভর্তি করা হয়েছে বলে তিনি জানান।

Development by: webnewsdesign.com