‘ভারতের কাছে এশিয়া কাপে হেরেছি বলে আমাদের প্রস্তুতি খারাপ হয়ে যায়নি’- বিশ্বকাপ শুরুর প্রাক্কালে কথাগুলো বলেছিলেন বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেট দলের অধিনায়ক রাকিবুল হাসান। ইংল্যান্ডের কাছে হেরে বিশ্বকাপ যাত্রা শুরু করা ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নরা দ্বিতীয় ম্যাচেই ফেরে স্বরূপে। কানাডার পর আরব আমিরাতকে হারিয়ে পৌঁছে যায় কোয়ার্টার ফাইনালে। শেষ আটের লড়াইয়ে রাকিবদের পুরনো শত্রু ভারত। তবে এবারও ভারত যুব দলের কাছে পাত্তা পায়নি বাংলাদেশ।
ব্যাট-বলে দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের জয়ে ২০২০ যুব বিশ্বকাপের পুরনো হিসেব মেটালো ভারতীয় যুবারা। ভারতকে হারিয়েই প্রথমবারের মতো অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের শিরোপা জিতেছিল বাংলাদেশ। আগে ব্যাট করতে নেমে ৩৭.১ ওভারে সবকটি উইকেট হারিয়ে জড়ো করে মাত্র ১১১ রান। মামুলি লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ১১৫ বল হাতে রেখেই ৫ উইকেটের বড় জয় তুলে নেয় ভারত।
শনিবার অ্যান্টিগায় শেষ কোয়ার্টার ফাইনালে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশের শুরুটা হয় বাজে। দলীয় ১৪ রানে উইকেট হারান মাহফিজুল ইসলাম, ইফতেখার আহমেদ ও প্রান্তিক নওরোজ নাবিল। ক্রিজে থিতু হওয়ার চেষ্টায় আইচ মোল্লা আউট হন ৪৮ বলে ১৭ রান নিয়ে। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে ৫৬ রানেই ৭ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। এরপর আশিকুর জামানকে নিয়ে লড়াই চালিয়ে যান এসএম মেহরব। অষ্টম উইকেটে দুজনে গড়েন ৫২ রানের পার্টনারশিপ।
তবে তাদের জুটি ভাঙতেই কার্যত শেষ হয়ে যায় বাংলাদেশের আশা। ৬টি চার হাঁকানো মেহরব ৪৮ বলে ৩০ রান করে সাজঘরে ফেরেন। এরপর থামতে হয় ২৯ বলে ১৬ রান করা আশিকুরকেও। শেষপর্যন্ত ৩৭.১ ওভারে ১১১ রানে অলআউট হয়ে যায় বাংলাদেশ। ভারতের পক্ষে রবি কুমার তিনটি ও ভিকি ওস্তাল দুটি উইকেট শিকার করেন।
দুর্বল সংগ্রহের পর বোলিংয়ে বাংলাদেশের শুরুটা হয় দুর্দান্ত। তানজিম হাসান সাকিবের আঘাতে দলীয় ১ রানে প্রথম উইকেট হারায় ভারত। শূন্য হাতে ফেরেন হারনুর সিং। তবে দ্বিতীয় উইকেটে প্রতিরোধ গড়ে তোলেন অংকৃশ রঘুবাঁশি ও শাইক রশিদ। দুজনে গড়েন ৭০ রানের পার্টনারশিপ। ৬৫ বলে ৪৪ রান করে রঘুবাঁশি ও ৫৯ বলে ২৬ রান করে রশিদ বিদায় নিলে ভারত আবার চাপে পড়ে যায়।
৯৭ রানের মধ্যে ভারতের ৫ ব্যাটার বিদায় নেন। তবে স্বল্প পুঁজি তাড়া করতে অসুবিধা হয়নি। অধিনায়ক যশ ধুল ২৬ বলে ২০ এবং কৌশল তাম্বের ১৮ বলে ১১ রানের অপরাজিত দুই ইনিংস দলকে জয়ের বন্দরে ভেড়ায় ৩০.৫ ওভারে।
Development by: webnewsdesign.com