আল্লাহ বলেন,যেসব স্ত্রী লোক তোমাদের ভালো লাগে, তাদের বিবাহ করো।তিনি আবার বলেন, তাঁর নিদর্শনগুলোর মধ্যে এটা একটি, তিনি তোমাদের মধ্য থেকে তোমাদের জন্য সঙ্গিনী সৃষ্টি করেছেন, যেন তোমাদের পরস্পরের মধ্যে ভালোবাসা ও দয়া স্থাপিত হয়। যারা চিন্তা করে, তাদের জন্য এটা একটি নিদর্শন। বিবাহ করা ইন্দ্রিয়ের আধিক্যে ফরজ, ওয়াজিব ও সুন্নাত হয়ে থাকে।
১। হাদিস: হজরত আবু হোরায়রা (রা.) হতে বর্ণিত। রাসুলুল্লাহ (স.) বলেছেন, কোনো ব্যক্তি কোনো স্থানে বিবাহ করার জন্য প্রস্তাব দিলে, সে প্রস্তাব ত্যাগ করা পর্যন্ত যেন তার ভাই (কোনো মুসলমান) সেখানে বিবাহের প্রস্তাব না করে। (বোখারি, মুসলিম)
২। হাদিস: হজরত আবু হোরায়রা (রা.) হতে বর্ণিত। রাসুল (স.) বলেছেন, যখন এমন কোনো লোক তোমাকে বিবাহ করতে চায়, যার ধর্মে মতির জন্য এবং চরিত্রের জন্য তুমি সন্তুষ্ট, তাকে বিবাহ করো। যদি তা না করো, তবে দুনিয়াতে বিপদ-আপদ এবং ব্যাপক অশান্তি বিরাজ করবে। (তিরমিজি)
৩। হাদিস: হজরত আবু হোরায়রা (রা.) হতে বর্ণিত। সর্বাপেক্ষা উত্তম এ স্ত্রীলোকগণ যারা উটে আরোহণ করে, (কুরাইশদের যুবতী কুমারীগণ)। তারা সন্তানগণের জন্য শৈশবে অত্যন্ত স্নেহশীলা এবং তাদের স্বামীদের সম্পত্তি রক্ষণাবেক্ষণে অত্যন্ত যত্নশীলা। (বোখারি ও মুসলিম)
৪। হাদিস: হজরত আবদুল্লাহ বিন মাসউদ (রা.) হতে বর্ণিত। রাসুলুল্লাহ (স.) বলেছেন, হে যুবকগণ! তোমাদের মধ্যে যার বিবাহ করার সংগতি আছে, সে যেন বিবাহ করে; কেননা তা অধিকতর দৃষ্টি বন্ধনকারী এবং গুপ্তাঙ্গ রক্ষাকারী। বিবাহে যার সংগতি নেই সে যেন রোজা রাখে, কেননা তা তার খানাস্বরূপ। (বোখারি, মুসলিম)
৫। হাদিস: হজরত মা’কাল বিন ইয়াসার (রা.) হতে বর্ণিত। রাসুলুল্লাহ বলেন, যেসব স্ত্রীলোক স্নেহশীলা এবং সন্তানবর্তী, তাদের বিবাহ কর। (আবু দাউদ, নাসায়ি)
৬। হাদিস: হজরত আবদুর রহমান বিন সালেম (রা.) হতে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (স.) বলেছেন, তোমরা কুমারী কন্যা বিবাহ করবে, কেননা তাদের মুখ অধিকতর সুমিষ্ট, তাদের গর্ভ অধিকতর শক্তিশালী এবং তারা অল্পতে সন্তুষ্ট থাকে। (মিশকাত)
৭। হাদিস: হজরত ইবনে মাজাহ (রা.) হতে বর্ণিত। রাসুলুল্লাহ (স.) বলেছেন পরস্পর দু’জন প্রেমিকের পক্ষে বিবাহের মতো আর কিছুই নেই। (ইবনে মাজাহ)
৮। হাদিস: হজরত ইবনে আব্বাস (রা.) হতে বর্ণিত তিনি বলেছেন, যার সন্তান জন্মগ্রহণ করে, সে যেন তাকে একটি উত্তম নাম দেয় এবং আদব শিক্ষা দেয়; যখন সে বয়স্ক হয়, তখন যেন তাকে সে বিবাহ করায়। যদি বয়স্ক হওয়া সত্ত্বেও বিবাহ না দেয়, তা হলে সে পাপ করলে তা তার পিতার ওপর বর্তে। (ইবনে, মাজাহ, বাইহাকি)
৯। হাদিস: হজরত আয়েশা (রা.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (স.) বলেছেন, যে পবিত্র হয় এবং পবিত্র করে আল্লাহর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে ইচ্ছা করে, সে যেন স্বাধীন স্ত্রীলোক বিবাহ করে। (ইবনে মাজাহ)
১০। হাদিস: হজরত আয়েশা (রা.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (স.) শাওয়াল মাসে আমাকে বিবাহ করলেন। শাওয়াল মাসে আমার বিবাহ পূর্ণ হলো। সুতরাং আমার চাইতে অন্য কোনো স্ত্রী তাঁর কাছে অধিকতর প্রিয় ছিল? (মুসলিম)
১১। হাদিস: হজরত আয়েশা (রা.) হতে বর্ণিত। রাসুল (স.) বলেছেন, যে বিবাহে সর্বাপেক্ষা কম খরচ হয়, তাতে সর্বাপেক্ষা বড় বরকত আছে। (মুসলিম, বাইহাকি)
১২। হাদিস: হজরত উমর বিন খাত্তাব (রা.) হতে বর্ণিত। রাসুলুল্লাহ (স.) বলেছেন, বিবাহে স্ত্রীলোকের চারটি বিষয় দেখতে হবে: (১) তার মাল, (২) তার গুণ, (৩) তার সৌন্দর্য এবং (৪) তার ধর্ম। তার ধর্মে মতি থাকলে তাকে পছন্দ করো। তোমার হাত ধূলিতে পূর্ণ হোক। (বোখারি, মুসলিম)
Development by: webnewsdesign.com