নদী দখল করা মায়িশা পাওয়ার প্ল্যান্ট ও আরিশা ইকোনমিক জোন উচ্ছেদে কোনও আইনি বাধ্যবাধকতা নেই বলে জানিয়েছে নদী কমিশন। বিআইডব্লিউটিএ যে কোনও দিন কমিশনই সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোকে নিয়ে উচ্ছেদে যাবে। এদিকে যৌথ জরিপ করে নদী দখল নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করায় নদী কমিশন, নৌমন্ত্রণালয় ও বিআইডব্লিউটিএসহ কয়েকটি সরকারি সংস্থা নিয়ে এমপি আসলামুলের বক্তব্য অনাকাঙ্ক্ষিত ও রাষ্ট্রবিরোধী বলে আখ্যায়িত করেছেন নদী কমিশনের চেয়ারম্যান। এ বছরের ৩ ও ৪ মার্চ তুরাগ ও বুড়িগঙ্গা দখল করে গড়ে তোলা মায়িশা পাওয়ার প্ল্যান্ট ও আরিশা ইকোনমিক জোনের অবৈধ অংশে উচ্ছেদ চালাতে গেলে যৌথ জরিপের দাবি তুলে তাতে বাধা দেন প্রতিষ্ঠান দুটির মালিক এমপি আসলাম।
তার দাবি অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট ৮টি প্রতিষ্ঠানকে সঙ্গে নিয়ে সরেজমিন পরিদর্শন ও দফায় দফায় সব পক্ষকে সঙ্গে নিয়ে যৌথ জরিপ করে নদী কমিশন প্রতিবেদনে জানায়, মায়িশা পাওয়ার প্ল্যান্ট ও আরিশা ইকোনমিক জোন নদীর ৫৪ একর জায়গা দখল করে রেখেছে। তবে এমপি আসলাম সংস্থাগুলোকে প্রতিপক্ষ আখ্যায়িত করে এবারও প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান করেন। পাশাপাশি সংবাদ সম্মেলনে বিআইডব্লিউটিএ, নৌমন্ত্রণালয় ও নদী কমিশনকে নিয়ে বিষোদগার করেন। সরকারি সংস্থা নিয়ে একজন এমপির এমন মন্তব্যকে দুঃখজনক ও অনাকাঙ্ক্ষিত হিসেবে দেখছেন সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলো।
নদী কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মুজিবুর রহমান বলেন, দখল করার পর তিনি যে আচরণ দেখছেন; আমি মনে করি সেটা সংযত করা উচিত। এটা তো রাষ্ট্রবিরোধী বটে এ ধরনের আচরণ ব্যক্তিত্বের বহিঃপ্রকাশ। এটা নিয়ে প্রতিষ্ঠানকে কথা বলা পদের অপব্যবহার।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) চেয়ারম্যান কমডোর গোলাম সাদেক বলেন, বিআইডব্লিউটিএ কারও প্রতিপক্ষ নয়। সরকার থেকে আমাদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। আইন অনুযায়ী আমাদের যে দায়িত্ব রয়েছে; সেটা পালন করতেই হবে। বিআইডব্লিউটিএ উচ্ছেদের আগে আদালতের বিষয়গুলো আরও যাচাই করার কথা বললেও নদী কমিশন বলছে, তার কোনও প্রয়োজন নেই।
নদী কমিশনের চেয়ারম্যান আরও বলেন, এটি উচ্ছেদের ক্ষেত্রে আদালত ও সরকারের পক্ষ থেকে কোনও ধরনের বাধা নেই। তুরাগের মিরপুরে অংশেও এমপি আসলামের বিরুদ্ধে নদী দখলের অভিযোগ রয়েছে।
Development by: webnewsdesign.com