পাকিন্তান ক্রিকেট দলের পক্ষে মাঠে স্লোগান ও পাকিস্তানের পতাকা উড়ানোকে কেন্দ্র করে সমালোচনাকে ‘বিদ্বেষপূর্ণ কথা’ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সংসদ সদস্য হারুনুর রশিদ।
আজ শনিবার একাদশ জাতীয় সংসদের পঞ্চদশ অধিবেশনে পয়েন্ট অব অর্ডারে দাঁড়িয়ে হারুন এ অভিযোগ করেন।
তিনি বলেন, সমর্থকরা মাঠে পতাকা উড়িয়েছে। এই পতাকা উড়ানো কেন্দ্র করে নানা কথা বলা হচ্ছে। সংসদে এমপিরাও বলেছেন। পাকিস্তান খেলতে এসেছে, তারা আমাদের মেহমান, অতিথি। এটাকে কেন্দ্র করে কেন এসব বলা হচ্ছে। বিদ্বেষপূর্ণ কথা বলা হচ্ছে। তাদেরকে তো আনা দরকার ছিল না, কেন আসতে দিলেন। একটা দেশের প্রতি বিদ্বেষপূর্ণ আচরণ করা সঠিক না।
এ সময় আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্যরা প্রতিবাদ জানাতে থাকেন। নিজের বক্তব্যে হারুনুর রশিদ যুদ্ধাপরাধ মামলায় মোমিন তালুকদারের বিচারের প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, তিনি এ সংসদের সদস্য ছিলেন। রাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তিনি বিদেশ সফর করেছেন।
কোরআনের আয়াত উদ্ধৃত করে হারুন বলেন, সাক্ষী আলামত ছাড়া কাউকে হত্যা করা একেবারে গুনাহর কাজ। অষ্টম ও একাদশ সংসদের সদস্য আব্দুল মোমিন তালুকদার, তার বয়স তখন (১৯৭১ সালে) ১৮ বছর ছিল। উনি রাষ্ট্রপতির সাথে ২০১১ সালে জাতিসংঘের কনভেনশনে গিয়েছেন।
এ সময় স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, মাননীয় সদস্য, আপনি এখানে বিচারের বিষয়ে কথা বলতে পারেন না। বিচার হয়েছে আপনি বসুন। পরে তার মাইক বন্ধ করে দেওয়া হয়।
এরপর নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী হারুনুর রশিদের বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়ে পয়েন্ট অব অর্ডারে বক্তব্য দেন।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে ২৩ বছর এই জাতি লড়াই সংগ্রাম করে স্বাধীনতা পেয়েছিল। অধিকার হারা মানুষ তাদের অধিকার ফিরে পেয়েছিল। সেই জায়াগায় যখন আমাদের আঘাত করা হয়, তখন আমরা ব্যথিত হই, বাংলাদেশের মানুষ ব্যথিত হয়, ৩০ লাখ শহীদ অপমানিত হয়, আমাদের মা-বোনদেরকে অপমান করা হয়। বিএনপির এমপি হারুনুর রশিদ যেভাবে পাকিস্তানের পক্ষ নিয়ে এই সংসদে যা বললেন, তাতে তাদের প্রকৃত চরিত্র বেরিয়ে এসেছে। তারা যে রাজাকার, আল-বদর, আল-সামসদের পক্ষ নিয়ে কথা বলছে, রাজনীতি করছে, এই বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সেন্টিমেন্ট তারা ধারণ করে না- সেটাই প্রমাণ হয়েছে। বিএনপির রাজনীতিই হচ্ছে সেটা।
তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার মধ্য দিয়ে জাতিকে অন্ধকারে ঠেলে দেওয়া হয়েছিল। আর ঠেলে দিয়ে জিয়াউর রহমান হত্যাকারীদের শুধু পুনর্বাসন, লানন-পালনই করেনি, সেই সঙ্গে পাকিস্তানি ধারা বাংলাদেশে প্রবর্তনের জন্য সংবিধানকে ক্ষতবিক্ষত করেছে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধ্বংসের চেষ্টা করেছে। একই ধারায় বিএনপি এখনও রাজনীতি করে যাচ্ছে। তার প্রমাণ হারুনুর রশিদ এখানে উপস্থাপন করলেন পাকিস্তানের পক্ষ অবলম্বন করে।
Development by: webnewsdesign.com