সৎ বালিশ চাপা দিয়ে হত্যা করেছে সাত বছরে শিশু মারুফ হাসান (৭)কে। কিন্তু খুনের দায় থেকে বাঁচতে জিনে মেরে ফেলেছে বলে প্রচার করে তড়িঘড়ি করে মরদেহ দাফনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছিল।
ঘটনার পর থানায় নিয়ে সৎমাকে জিজ্ঞাসাবাদের পর এমন কথা স্বীকার করেছেন তিনি। মারুফ দুষ্টুমি করতো। যা তিনি কোনোভাবেই মানতে পারছিলেন না। সেই ক্ষোভ থেকেই শিশু মারুফকে বালিশ চাপা দিয়ে হত্যা করেছেন বলে জিজ্ঞাসাবাদে সৎমা মুক্তা বেগম (২৫) পুলিশকে জানিয়েছে।
শুক্রবার (৩০ এপ্রিল) দুপুরে মারুফের মরদেহ দাফনের আগ মুহূর্তে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় পুলিশ এবং নিহতের ময়নাতদন্তের জন্য কাফনে মোড়ানো অবস্থায় নিহতের মরদেহ রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজের মর্গে পাঠায় পুলিশ।
এরপর মারুফের মায়ের অভিযোগের ভিত্তিতে শিশুটির বাবা শাহাজাহান আলী (৪৫) ও সৎমা মুক্তা বেগমকে (২৫) জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। সেখানেই এই হত্যার মোটিভ বেরিয়ে আসে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে শনিবার (১ মে) দুপুরে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ। এর আগে শুক্রবার (৩০ এপ্রিল) রাতে শিশুর মা মারুফা বেগম বাদী হয়ে হত্যা মামলা করেন।
এই হত্যা মামলার মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বাগমারা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সৈবুর রহমান জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সৎমা মুক্তা বেগম হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে নিজের জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন। স্বামীর সহযোগিতায় শুক্রবার ভোরে বালিশ চাপা দিয়ে শিশু মারুফকে তিনি হত্যা করেন বলে জানিয়েছেন।
তাই নিহতের মায়ের দায়ের করা হত্যা মামলায গ্রেফতার দেখিয়ে এই দুই জনকে শনিবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।
Development by: webnewsdesign.com