বাবুগঞ্জের মাধবপাশা পূর্ব রহমতপুর আদম আলী ইফতেদায়ী মাদ্রাসা উধাও

সোমবার, ১০ অক্টোবর ২০২২ | ৫:৪৪ অপরাহ্ণ

বাবুগঞ্জের মাধবপাশা পূর্ব রহমতপুর আদম আলী ইফতেদায়ী মাদ্রাসা উধাও
apps

বাবুগঞ্জ উপজেলার মাধবপাশা ইউনিয়নের পূর্ব রহমতপুর ৯নং ওয়ার্ডের আদম আলী বাড়ির পুকুরের পূর্ব পাড়ে ইফতেদায় মাদ্রাসা উধাও হয়ে গেছে, মাদ্রাসার আশেপাশে থাকা চার পাঁচটা মোটা রেন্ডি ও মেহগনি গাছ কেটে নিয়েছে এলাকার প্রভাবশালী ব্যক্তিরা।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায় দীর্ঘ অনেক বছর আগে আদম আলী নামের স্থানীয় এক ব্যক্তি মাদ্রাসার জন্য ১২ শতাংশ জমি দান করেন, সেই জন্য মাদ্রাসাটির নাম কারণ করা হয় আদম আলী ইবতেদায়ী মাদ্রাসা, তখন সেই সময় নূর খাঁন তার সহায়তায় একটি টিনসেট কাঠের মাদ্রাসা নির্মাণ করেন।

পরে সেখানে নূরানী মাদ্রাসা চালু করেন ও ছোট ছোট ছেলেমেয়েদের নূরানী শিক্ষার পড়াশোনা করার জন্য একজন নূরানী শিক্ষক রাখেন, বেশ কিছুদিন নূরানী মাদ্রাসার থাকার পড়ে ইবতেদায় মাদ্রাসার জন্য স্থানীয়ভাবে চারজন শিক্ষক ও শিক্ষিকা নিয়োগ দেন তাদের নাম হলো মোঃ সাইফুল ইসলাম খান, মোঃ জসিম হালদার, রুনু আক্তার, আরেকজন মহিলা শিক্ষিকা, এবং ১৫-২০ জন ছাত্র ছাত্রী ভর্তি করে মাদ্রাসাটি চালু করেন, কয়েক মাস যাওয়ার পরে বাবুগঞ্জ উপজেলা বরাবর একটি চিঠির আবেদন করে শিক্ষা বোর্ডের কাছে, এর বেশ কয়েক মাস পরে মাদ্রাসাটি পরিদর্শন করতে আসেন মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড থেকে তখন কর্মরত দুই জন অফিসাররা পরিদর্শন করেন, এবং তার পরে মাদ্রাসাটি সরকারি ভাবে সহায়তা পাওয়ার জন্য আবেদন করেন।

পরে কয়েক মাস যাওয়ার পর শিক্ষা বোর্ডের অফিসারদের গরিব-দুখী মানুষের ছেলেমেয়েরা যাতে বিনা খরচে পড়াশোনা করতে পারে এই বিষয়টি ভেবে তাদের আপ্রাণ চেষ্টায় মাদ্রাসাটির জন্য মাসিক তিন থেকে চারজন শিক্ষক ও শিক্ষিকার নামে বেতন ভাতা সরকারি ভাবে তালিকাভুক্ত করে দেয়, সরকারিভাবে কিছু, ব‌ই, ব্ল্যাকবোর্ড ও বেঞ্চের বরাদ্দ নিয়ে আসে। এর দুই থেকে তিন বছর পর মাদ্রাসাটি ছাত্র ছাত্রী ওই মাদ্রাসা ভালো পড়াশোনা হতো না বলে, অন্য স্কুল ও চাঁদপয়শা বকশীচার মাদ্রাসায় চলে যায় পরে মাদ্রাসাটি দেখাশোনার কোন লোক না থাকার কারণে এভাবে অবহেলায় অযত্নে বেশ কয়েক বছর মাদ্রাসাটি ভেঙে পড়ে থাকে কিন্তু মাদ্রাসার নামে সরকারি বেতন ভাতা চালু থাকে মাদ্রাসার নামে এই বেতন ভাতার টাকা চলে যায় এলাকার কয়েকজন প্রভাবশালীদের পকেটে, এই কথা স্থানীয়রা সাংবাদিকদের জানান।

এখন সেই মাদ্রাসাটি ভেঙ্গে নিয়ে গেছেন এলাকার প্রভাবশালীরা সেই সাথে মাদ্রাসার ভিতরে থাকা বেঞ্চ গুলিও উধাও হয়ে গেছে, শুধু পড়ে আছে মাদ্রাসা জায়গাটুকু। এই বিষয়ে ৯ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোঃ শাজাহান বাদশার সাথে যোগাযোগ করলে সে নানান অজুহাত দেখিয়ে এড়িয়ে যায়। তাই উপজেলা প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি, সেই সাথে মাদ্রাসার শিক্ষা বোর্ডের কাছে সুষ্ঠু তদন্ত করে মাদ্রাসাটি আবার যাতে চালু হয় সেই ব্যবস্থা করার জন্য এলাকাবাসীর দাবি।

Development by: webnewsdesign.com