বাবার মর্জিতে চাইলে কি সব হতে পারে? ছেলে সন্তানদের প্রতি বাবার কোন দায়িত্ব নেই। প্রথম ঘরের সন্তান বলে বাবার এই কেমন অবহেলা।
বাবার মর্জি আর দ্বিতীয় ঘরের সন্তানদের প্ররোচনায় ভিটেমাটি সম্ভলহীন হয়ে পড়া চার সন্তান এমনভাবে প্রশ্ন রেখেছেন তাদের জন্মদাতা পিতার প্রতি।
চট্টগ্রামের আনোয়ারার উপজেলার সদর ইউনিয়নের আনোয়ারা গ্রামের বাসিন্দা রবীন্দ্র ঘোষ। উপজেলার আনোয়ারা সদর ইউনিয়নের আনোয়ারা মৌজার ২৬শতক আর বিলপুর মৌজার ৪৬শতক মোট ৭২শতক জায়গা রয়েছে তার।
এই ৭২শতক জায়গা দুই পরিবারের ৭ সন্তান সমপরিমাণ ভাগ পাওয়ার কথা থাকলেও বাবা রবীন্দ্র ঘোষের মর্জিতে প্রথম ঘরের চার সন্তান পাচ্ছে না কোন পৈত্তিক সম্পত্তি।
রবীন্দ্র ঘোষের পরিবার সূত্রে জানা যায়, রবীন্দ্র ঘোষের রয়েছে দুই পরিবারের সংসার।
রবীন্দ্র ঘোষের প্রথম স্ত্রী হলেন সন্ধ্যা রাণী ঘোষ আর দ্বিতীয় স্ত্রী হলেন মিনু বালা ঘোষ ।
প্রথম স্ত্রী সন্ধ্যা রাণী ঘরে রয়েছে ৪ ছেলে আর দ্বিতীয় স্ত্রী মিনু বালা ঘোষের ঘরে রয়েছে তিন ছেলে সন্তান।
প্রথম ঘরের সন্তানরা হলেন, পরিতোষ ঘোষ, সজল ঘোষ, চন্দন ঘোষ আর টিটু ঘোষ।
অপর দিকে দ্বিতীয় ঘরের সন্তানরা হলেন তিন ছেলে লিটন ঘোষ, সুমন ঘোষ আর ছোটন ঘোষ।
জানা যায়, ২০০৮ সালে রবীন্দ্র ঘোষের প্রথম স্ত্রী সন্ধ্যা রাণী ঘোষের মৃত্যু হয়। তার মৃত্যু নিয়ে রয়েছে নানা রহস্য। এছাড়াও তৎকালীন সময় থেকে প্রথম স্ত্রী’র সন্তানদের নানাভাবে করত তুচ্ছ তাচ্ছিল্য। বেশ কিছুদিন যাবত সৎ ভাইদের প্ররোচনা আর বাবা রবীন্দ্র ঘোষের মর্জিতে প্রথম ঘরের সন্তানদের ভিটেমাটি হারা করতে ওঠে পড়ে লেগেছে দ্বিতীয় ঘরের সন্তানরা।
ইতিমধ্যে দ্বিতীয় ঘরের সন্তানরা তাদের পিতার সহায়তায় সৎ ভাইদের সম্পত্তিহীন করতে তৈরী করেছ নানা রকম জাল দলিল। তৈরী করেছে একাধিক ভুয়া দানপত্রের কাগজ।
সাম্প্রতিক সময়ে জমি বিক্রি করতে লিটন ঘোষ, সুমন ঘোষ, ছোটন ঘোষরা ইউপি চেয়ারম্যান ও মেম্বারের জাল স্বাক্ষর তৈরী করেছে ভুয়া ওয়ারিস সনদ।
যা ইতিমধ্যে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও থানায় তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
এবিষয়ে প্রথম ঘরের তৃতীয় সন্তান চন্দন ঘোষ বলেন, আমার বাবা দ্বিতীয় বিয়ে করার পর আমার মা মারা যায়। আমাদের মায়ের মৃত্যুর কিছুদিন পর তারা দাবি করে ( দ্বিতীয় স্ত্রী পরিবার) উনার সব সম্পতি দ্বিতীয় স্ত্রী আর তার সন্তানের নামে দানপত্র করে গেছেন ।
আমাদের প্রশ্ন হলো আমাদের মা কিভাবে নিজের সন্তানের পরিবর্তে সতীনের ছেলেদের নামে সম্পদ দান পত্র করবে! এটা কখনো একজন সুস্থ সবল মানুষ বিশ্বাস করবেনা। আমার মা লেখাপড়া জানতো না টিপ সাক্ষর দিতো । কিন্তু দানপত্রে আমার মায়ের নাম সাক্ষর ব্যবহার করেছে তারা।
আমাদের জন্মস্থান ও নাগরিকত্ব আনোয়ারা গ্রামে হলেও আমাদের বাবা ও তার দ্বিতীয় স্ত্রী কোর্টে মামলা দায়ের করেছে আমাদের মায়ের ভিটে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেওয়া জন্য ।
এমন কি আমাদের চাচা সাথেও জায়গা নিয়ে জালিয়াতি করে সব সম্পতি নিজের (রবীন্দ্র ঘোষ) নামে করে নিয়েছে। এই রকম জায়গা নিয়ে জালিয়াতি আরো অহরহ রয়েছে , যা তারা করে নাই । এখন আমরা সর্বহারা হয়ে পড়েছি।
এই নিয়ে জানতে চাইলে সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ওসীম কুমার বলেন, ছোটন দাশ আমার ও অচ্যুত শীলের স্বাক্ষর জাল করে এস আলম নামে একটি প্রতিষ্ঠানে ওয়ারিশ সনদ দিয়েছে জানতে পেরেছি। আর ওদের ভাইয়ের জায়গা আত্মসাৎ করার বিষয়ে আমরা শুনেছিলাম তবে বাদি পক্ষ আমাদের সাথে যোগাযোগ না করাই এই বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।
Development by: webnewsdesign.com