বাগেরহাট পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)এর হেফাজতে রাজা ফকির নামের এক হত্যা মামলার আসামীর মৃত্যুর অভিযোগ করেছে তার পরিবার। তবে পিবিআই পুলিশ বলছে শারীরিক অসুস্থতার কারণে হাসপাতালে ভর্তি করা হলে সে মারা যায়। নিহতের মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য বাগেরহাট সদর হাসপাতাল মর্গে রয়েছে। মৃত্যুর খবর পেয়ে সোমবার সন্ধ্যায় রাজা ফকিরের বাবা ও স্বজনরা হাসপাতালে ছুটে আসেন। নিহত রাজা ফকির বাগেরহাট সদর উপজেলার খানজাহান আলী দীঘির পাড় এলাকার বাবু ফকিরের ছেলে।
নিহত রাজা ফকিরের বাবা বাবু ফকির বলেন, রোববার (২৭ সেপ্টেম্বর) রাতে পটুয়াখালীর এক আত্মীয়ের বাড়ি থেকে রাজা ফকিরকে বাগেরহাট পিবিআই আবু সাইদ আটক করে বাগেরহাটে নিয়ে আসেন। আনার পথে রাজার উপর শারীরিক নির্যাতন চালায়। বাগেরহাটে নিয়ে এসেও রাজার উপর নির্যাতন চালায়। ওই এস আইয়ের ফোন দিয়ে আমাদেরকে কল দিয়ে নিজেকে নির্যাতনের কথা জানায় রাজা। বাদী পক্ষের সহায়তায় পুলিশ আমার ছেলের উপর নির্যাতন চালিয়ে তাকে হত্যা করেছে। আমার ছেলের উপর নির্যাতনের বিচার চাই।
২০১৯ সালের ১৮ অক্টোবর সন্ধ্যায় বাগেরহাট সদর উপজেলার খানজাহান আলী মাজার মোড় এলাকায় ছুরিকাঘাতে তালিম মল্লিক (১৮) নামের এক যুবক নিহত হয়। পরে একই এলাকার জাহাঙ্গীরের ছেলে মিলন ও রাজা ফকিরকে আসামী করে বাগেরহাট সদর থানায় মামলা দায়ের করেন তামীমের পরিবার। সেই মামলায় পিবিআই সদস্যরা রাজা ফকিরকে গ্রেফতার করে।
বাগেরহাটের সিভিল সার্জণ কে.এম হুমায়ুনকবির বলেন, বাগেরহাট পিবিআই পুলিশের সদস্যরা দুপুর ১ টা ২০ মিনিটের সময় রাজা ফকিরনামের এক যুবককে হাসপাতালে নিয়ে আসেন। কর্তব্যরত চিকিৎসকরা পরীক্ষা নিরিক্ষা করে দেখেন রাজা ফকির মৃত। ময়না তদন্তের পরে মৃত্যুর কারণ জানা যাবে বলে তিনি উল্লেখ করেন। এ ব্যাপারে পিবিআই বাগেরহাটের কোন কর্মকর্তা কথা বলতে রাজি হননি।
Development by: webnewsdesign.com