বাগেরহাটে এসআই গৌতমের বিরুদ্ধে বেআইনিভাবে শিক্ষার্থীর গরু আটকে রাখার অভিযোগ

মঙ্গলবার, ০৮ অক্টোবর ২০২৪ | ১:০৪ অপরাহ্ণ

বাগেরহাটে এসআই গৌতমের বিরুদ্ধে বেআইনিভাবে শিক্ষার্থীর গরু আটকে রাখার অভিযোগ
apps

বাগেরহাট সদর থানার এস.আই গৌতম রায়ের বিরুদ্ধে বে-আইনীবাবে এক মাদ্রাসা শিক্ষার্থীর ০২ টি গরু আটকে রাখার অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি ঘটেছে বাগেরহাট সদর উপজেলার বিষ্ণপুর ইউনিয়নের মান্দ্রা গ্রামে। নিজের পালিত গরু অবৈধভাবে থানায় আটকে রাখায় ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে এলাকাবাসী। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী মোঃ ফাহিম মুনতাছির (২৩) নিজের পালিত গরু ফিরে পেতে পুলিশ সুপারসহ একাধিক স্থানে অভিযোগ দায়ের করেছেন। মোঃ ফাহিম মুনতাছির সদর উপজেলার বিষ্ণপুর ইউনিয়নের মোজাফফর আলী শেখের ছেলে।

ভুক্তভোগী তার অভিযোগে জানান, আমি জিলবুনিয়া মাদ্রাসার ফাজিল ২য় বর্ষের ছাত্র। গত ২০২১ সাল থেকে আমি পড়াশুনার পাশাপাশি নিজ বসতবাড়িতে গরুর খামার করে আসছি। কিন্তু গত ১০ সেপ্টেম্বর বিকাল ৩ ঘটিকায় নিজ বাড়িতে অবস্থান কালে আমার এলাকার চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী ও স্থানীয় আওয়ামী সন্ত্রাসী হানিফ, রাসেল, জয়নালসহ ৩/৪ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আমার বসত বাড়িতে বে-আইনীভাবে প্রবেশ করে। তারা আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে ও লোহার রড দিয়ে পায়ে আঘাত করে। আমি দৌড়ে বাড়ির পিছন দিয়ে পালিয়ে কোন মতে প্রানে রক্ষা পাই। এ সময় তারা আমার খামারে থাকা ১৮ মাস বয়সী গর্ভবতী ০১টি বকনা ও ২৬ মাস বয়সী এড়ে গরু বের করে নিয়ে আসে।পরে জানতে পারি সন্ত্রাসীদের সাথে সিভিল ড্রেসে বাগেরহাট মডেল থানার এসআই গৌতম রায় ও তার দুই সহযোগী কনস্টেবল ছিল।

আমার পরিবার ও আশপাশের লোকজন গরু নিয়ে যাওয়ার কারন জানতে চাইলে তারা জানায় গরুর কাগজ পত্র নিয়ে থানায় আসলে যাচাই করে গরু ফেরত দেওয়া হবে বলে জানায়। আমি ঐ দিন সন্ধায় ক্রয়কৃত গরুর সকল ডকুমেন্ট জমা দিলেও তারা গরু ফেরত দেয়নি।

তিনি আরো বলেন, যে মামলার জন্য বে-আইনীভাবে আমার খামার থেকে গরু নিয়ে আসছে উল্লেখিত সেই মামলায় গরুর বয়স ৮ মাস, গায়ের রং লাল উল্লেখ থাকলেও বাস্তবিক অর্থে আমার গরুর বয়স ২৬ মাস, গায়ের রং মসে কালো। এছাড়া ০৪ বয়স বয়সী বকনার কথা উল্লেখ থাকলেও আমার গরু ১৮ মাস বয়সী ০১টি বকনা। এখানে কোন প্রচার যাচাই ছাড়া সম্পূর্ন বে-আইনী উদ্দেশ্যেমূলকভাবে স্থানীয় সন্ত্রাসীদের সহযোগীতায় এসআই গৌতম রায় আমার খামারের গরু নিয়ে আসছে।

তিনি বলেন, আমার ৩বড় ভাই রুবেল, হাসান ও মিলন ভাইকে সাথে নিয়ে আমার গরুর খোজ নিতে থানায় যাই। আমরা জানাই মামলার এজাহারে গরুর কোন মিল নাই, আপনি কেন আমার গরু নিয়ে আসছেন। এ সময় এস আই গৌতম আমাদের উপর চড়াও হয় ও হুমকি প্রদান করে।

তিনি জানান, আমি ছাত্র অবস্থায় অনেক কষ্ট করে তিল তিল করে গরু ক্রয় করেছি। আমি আমার কষ্টের টাকার গরু দ্রুত ফেরত চাই।

এ ঘটনায় পার্শ্ববর্তী সাবেক সেনা সদস্য (অবঃ) মোঃ কাওসার আলী বলেন, ফাহিম বেতাগা বাজার থেকে গরু ক্রয়ের কথা আমরা এলাকাবাসী সবাই জানি। স্থানীয় কিছূ সন্ত্রাসীরা পুলিশের সাথে জোকসাজোসে বে-আইনী ভাবে তার গরু আটকে রেখেছে। ফাহিম অনেক কষ্ট করে পড়াশুনার পাশিাপাশি খামার করে পরিবার চালায়। আমরা তার গরু ফেরত চাই। এবং এ ধরনের কাজের সাথে যারা সংশ্লিষ্ট এ সকল পুলিশ সদস্যর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করছি।

এ ঘটনায় বাগেরহাট মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাঃ সাইদুর রহমান বলেন, চুরির ঘটনায় সন্দেহজনকভাবে গরু আটকে রাখা হয়েছে। সঠিক ভাবে যাচাই করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

Development by: webnewsdesign.com