বাগেরহাটে ভাইয়ের সাথে জমি-জমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে ইউপি সদস্যের নেতৃত্বে হামলা,ভাংচুর ও গর্ভবতী নারীসহ মোট তিনজন আহত হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে বাগেরহাটের কচুয়ার উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়নের ৬নং প্রতাপপুর গ্রামে মোঃ জাকির হোসেনের বাড়িতে। মোঃ জাকির হোসেন প্রতাপপুর গ্রামের মৃতঃ শেখ শামসুর রহমানের ছেলে। হামলায় জাকির হোসেনের গর্ভবতী স্ত্রী স্বপ্না বেগম (৩০),ছেলে মোরসালিন (০৫) ও মেয়ে মোঃ তাসকিয়া (১১) আহত হয়েছে।
ভুক্তভোগী জাকির হোসেন জানান, শনিবার (২৪ এপ্রিল) সকাল ১১ টার দিকে ৬ নং ইউপি সদস্য ও গোপালপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক রাজিব হোসেনের নেতৃত্বে আমার ভাই মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেনসহ ৫/৭ জন সন্ত্রাসী দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আমার বাড়িতে হামলা চালায়। এ সময় ঘরের সকল গ্লাসের জানালা ও ঘরে ফর্নিচার ও মালামাল ভাংচুর করে। এ সময় হামলাকারিরা আমার গর্ভবতী স্ত্রী ও ছেলে ,মেয়েকে মারধর করে ও ঘরে থাকা ৮ হাজার টাকা নিয়ে যায় হামলাকারিরা। হামলা কারিদের আঘাতে আমার স্ত্রী গুরুত্বর অসুস্থ হয়ে পড়লে আশপাশের লোকজন উদ্ধার করে কচুয়া সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। তিনি আরো বলেন, রাজিব মেম্বর একজন সন্ত্রাসী সে ইতিপুর্বে এই এলাকার মাহাতাব এর স্ত্রী আলেয়াকে মেরেছে,জাহাঙ্গীর এর স্ত্রী কহিনুর বেগমকে পিটিয়ে ডান পা ভেঙ্গে দিয়েছে। আমি এসব অণ্যায়ের প্রতিবাদ করায় রাজিব মেম্বর ও জাহাঙ্গীর আমাকে হত্যার হুমকী দিয়েছে। আমি এই রাজিব ও জাহাঙ্গীরের দৃষ্টান্ত মুলক শাস্তি চাই।
ভুক্তভোগী জাকির হোসেনের বৃদ্ধ মা আলেয়া বেগম (৮০) বলেন, পারিবারিক সম্পত্তি নিয়ে দুই ভাইয়ের মধ্যে দ্বন্দ সৃষ্টি হয়। এতে শনিবার সকালে আমার বড় ছেলে জাহাঙ্গীর হোসেন ছোট ছেলের বাড়িতে এসে বাড়িতে ভাংচুর করে। এ সময় পার্শ্ববর্তী মোঃ রাকিব শেখ আমার গর্ভবতী পুত্র বধূকে মারধর করে।
এ বিষয়ে ইউপি সদস্য রাজিব হোসেন বলেন, আমার বাড়িও একই বাড়ির মধ্যে এবং ঘটনার সময় আমি বাড়িতে ছিলাম। ধান নিয়ে দুই ভাইয়ের পরিবারের মধ্যে বাকবিতন্ড ও হামলার ঘটনা ঘটলে আমি দুই পরিবারকে থামানের চেষ্টা করি মাত্র।
কচুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ মনিরুল ইসলাম বলেন, হামলার ঘটনা শুনেছি। লিখিত অভিযোগ দিলে দ্রুত তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
Development by: webnewsdesign.com