বাউফলে ঝুঁকিপূর্ণ সেতু দিয়ে চলাচল করছেন সহাস্রাধিক মানুষ

শনিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২১ | ৪:৩৯ অপরাহ্ণ

বাউফলে ঝুঁকিপূর্ণ সেতু দিয়ে চলাচল করছেন সহাস্রাধিক মানুষ
apps

ব্রিজটি দিয়ে পারাপার হতে গিয়ে অহরহ ঘটছে দুর্ঘটনা। তারপরেও কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি নেই। স্থানীয়দের ধারণা, দেশে এতো উন্নয়ন ঘটলেও কোন দৈব্য কারণে এই ব্রিজটি নির্মাণ করা হচ্ছে না। তাই তারা ব্রিজটির নাম দিয়েছেন “কালের পুল”।

এই ব্রিজটি রয়েছে পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার চন্দ্রদ্বীপ ইউনিয়নের চর ওয়াডেল গ্রামে। বিগত ১৫ বছর ধরে বেহাল ওই ব্রিজটি দিয়ে প্রায় অর্ধশত নারী-পুরুষ, বৃদ্ধ ও শিশু আহত হলেও কৃর্তৃপক্ষের টনক নড়েনি।

সরেজমিনে দেখা গেছে, ব্রিজটির কেবল কাঠামো এদিক ওদিক বাঁকা হয়ে রয়েছে। সকল স্লাবগুলো ভেঙে গেছে। নেই লোহার হাতলও। দুর্বত্তরা হাতলসহ অন্যান্য লোহার সরঞ্জাম চুরি করে নিয়ে গেছে। ব্রিজের উপর কেউ উঠলেই ব্রিজটি এদিক-ওদিক দোল খায়। অনন্যপায় হয়ে এলাকাবাসীরা ব্রিজরে খুঁটির উপর গাছের গুঁড়ি ও বাঁশ দিয়ে সাঁকো বানিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছেন।

স্থানীয়দের মতে,পারপার গতে গিয়ে আহত হয়েছেন অর্ধশতাধিক নারী-পুরুষ, বৃদ্ধ ও শিশু। এ যেনো দুর্ঘটনার আতুর ঘর। অহরহ দুর্ঘটান ঘটায় স্থানীয়রা ব্রিজটির নাম দিয়েছেন ‘কালের পোল’। ব্রিজটি দিয়ে চলাচল করতে গিয়ে গুরুতর আহত মোসা. রুশিয়া বেগম (৫০), মোসা. হাসিনা বেগম (২৬) ও তার আড়াই বছরের সন্তান নোমান, মোসা. ফিমা বেগম (৪০), মাদ্রাসা ছাত্র মো. সোহেল (১৬) এখনো দু:সহ যন্ত্রণা নিয়ে জীবনযাপন করছেন।

স্থানীয় বাসিন্দা মো. আমিনুল ইসলাম জানান, আমার আব্বা এ ব্রিজ থেকে পড়ে গিয়ে গুরতর আহত হয়েছেন। স্থানীয়রা না থাকলে হয়তো তাকে বাঁচানো যেতনা। রুশিয়া বেগম বলেন, ব্রিজ থেকে পড়ে আমার হাত ভেঙে গেছে। হাত ঠিক করতে ৬ হাজার টাকা খরচ হয়েছে।

স্থানীয় আরেক বাসিন্দা মো. ফিরোজ গাজী বলেন, একটি খালের কারণে চরওয়াডেল গ্রাম দুই ভাগে বিভাক্ত। যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম এই ব্রিজটি। তবে ব্রিজটির অবস্থা বেহাল হওয়ায় দুভোর্গের শিকার হচ্ছেন প্রায় সহাস্রাধিক মানুষ। প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা। অনেকের হাত ভেঙে গেছে। কারো দাঁত ভেঙ্গে গেছে। কেউ কেউ গুরতর আহত হয়ে বিছানায় পড়ে রয়েছেন।

কলেজ শিক্ষার্থী মো.গাজী মনির জানান, নদীবেষ্টিত ইউনিয়ন চন্দ্রদ্বীপ। উপজেলার অন্যসব ইউয়িনের তুলনায় এখানে তেমন উন্নয়ন হয়নি। বিশেষ করে যোগাযোগ ব্যবস্থা। ব্রিজটির বেহাল দশা থেকে আমরা মুক্তি চাই। ব্রিজটি নির্মাণ আমাদের প্রাণের দাবি।

এ বিষয়ে চন্দ্রদ্বীপ ইউপি চেয়ারম্যান এনামুল হক বলেন, ব্রিজটি নির্মাণের জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরে একাধিক বার আবেদন করেছি। তারা কয়েকবার পরির্দশনও করেছেন। কিন্তু অদৃশ্য কারণে ব্রিজটি নির্মাণ হচ্ছেনা।

বাউফল উপজেলা এলজিইডি’র প্রকৌশলী মো. সুলতান আহমেদ বলেন, উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ব্রিজটি পরির্দশন করেছেন। সয়েল টেস্টও হয়েছে। দরপত্র আহ্বানের প্রক্রিয়া চলছে।

 

Development by: webnewsdesign.com