বাউফলে নিন্মমানের উপকরণ দিয়ে চলছে সড়কের কাজ

মঙ্গলবার, ২০ এপ্রিল ২০২১ | ৫:১২ অপরাহ্ণ

বাউফলে নিন্মমানের উপকরণ দিয়ে চলছে সড়কের কাজ
apps

পটুয়াখালীর বাউফল-নওমালা পাকা রাস্তা থেকে বিলবিলাস শের ই বাংলা সড়ক সংযোগ ভায়া হাচন হাওলাদার বাড়ি পর্যন্ত ৯০ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত রাস্তার কার্পেটিংসহ অন্যান্য কাজে নানা অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

ফলে সড়কটির স্থায়ীত্ব নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে সাধারণ মানুষেরে মধ্যে। এ নিয়ে ওই এলাকার লোকজনের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোপের সৃষ্টি হলেও কর্তৃপক্ষ কোন ধরণের ব্যবস্থা নিচ্ছেননা। অভিযোগ উঠেছে বাউফল উপজেলা উপ-সহকারী প্রকৌশলী শহিদুল ইসলাম এবং উপজেলা প্রকৌশলীর সাথে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান যোগসাজস করে এধরণের অনিয়ম করার সুযোগ পাচ্ছে।

সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা গেছে, ২০১৯-২০ অর্থবছরে নাজমুস শাহাদাত নামে এক ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান ওই রাস্তাটির কার্যাদেশ পান। কাজের শুরুতেই রাস্তার বেড কাটা, বালু ভড়াট, ম্যাকাডম এবং কার্পেটিং পর্যন্ত সকল কাজই সিডিউল অনুযায়ী করা হয়নি। বর্তমানে অত্যান্ত নি¤œমানের পাথর দিয়ে সড়কটির কার্পেটিং কাজ করা হচ্ছে।

সরেজমিন দেখা গেছে, সড়কটির কার্পেটিং করার আগে ৬০% বিটুমিন ও ৪০% ক্রসিক দেয়ার কথা থাকলেও নাম মাত্র বিটুমিন ও ক্রসিক দিয়ে কার্পেটিং করা হচ্ছে। নি¤œ মানের পাথর, হাফইঞ্চি পাথরের পরিবর্তে সিলেকশন বালি ব্যবহার করা হচ্ছে। কার্পেটিংয়ের সময় বিটুমিন শতভাগ গরমের পরে থ্রি ফোর হাফ ইঞ্চি এবং ডাষ্ট ব্যবহার করার নিয়ম থাকলেও তা করা হচ্ছেনা।

মেকচিং করা হয়না। ঢালাইয়ের কাজ তদারকি করছেন নৈশ প্রহরী। কাজের সাইডে সার্বক্ষনিক ওয়ার্ক এ্যাসিষ্টান্ড থাকার কথা থাকলেও সে নেই। ঢালাইয়ের সময় দায়িত্বরত উপ-সহকারী প্রকৗশলী শহিদুল ইসলামের থাকার কথা থাকলেও এলজিইডি অফিসের নৈশ প্রহরী হারুন কার্পেটিং কাজের দেখভাল করছেন। যিনি রাস্তার কার্পেটিং এর উচ্চতা কতটুকু, বিটুমিনের তাপমাত্রা কত, পাথর কিভাবে মিকচিং করা হয় সে সম্পর্কে কিছুই জানেননা।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে এলজিইডি অফিসের একটি সূত্র জানায়, উপজেলা প্রকৌশলীর ইঙ্গিতেই উপ-সহকারী প্রকৌশরী শহিদুল ইসলাম ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে এধরণের কাজ করার সুযোগ করে দিয়েছেন।

এ বিষয়ে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের মালিক নাজমুল শাহাদাত বলেন, কার্পেটিং সিডিউল মতই করা হচ্ছে। এ বিষয়ে দায়িত্বরত উপ সহকারী প্রকৌশলী শহিদুল ইাসলাম বলেন, সিডিউল অনুযায়ি কাজ চলছে কোন অনিয়ম হচ্ছেনা ।

বাউফল উপজেলা প্রকৌশলী সুলতান আহম্মেদ বলেন, গতকাল কাজটি শুরু করে দিয়ে চলে আসছি ওখানে নৈশ প্রহরী কেন,কাজের দায়িত্বে এসও শহিদুল ইসলাম রয়েছেন। তবে কোন অনিয়ম হলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

দৈনিক বাংলাদেশ মিডিয়া/এসআরসি-২০

Development by: webnewsdesign.com