পটুয়াখালীর বাউফলে পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি শহিদ ইব্রাহিম সেলিমের সহোদর নাজিরপুর ইউপি চেয়ারম্যান মো. ইব্রাহিম ফারুক ও বাউফল প্রেস কøাবের সাবেক সভাপতি জেলা পরিষদের সদস্য মো. হারুন অর রশিদ খাঁনের উপর হামলার ঘটনায় দায়েরকৃত হত্যা চেষ্টা মামলার সকল আসামীকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেছেন পুলিশ। তদন্ত শেষে ওই চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বাউফল থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক শেখ মো. জাহিদুল ইসলাম।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের ২১শে ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় পৌর শহরের পাবলিক মাঠ সংলগ্ন যাত্রী ছাউনীতে অবস্থানরত ইব্রাহিম ফারুক ও সাংবাদিক হারুন অর রশিদ খাঁনসহ দলীয় নেতাকর্মীর উপর হামলার ঘটনা ঘটে। ঘটনার পরদিন ২২ ফেব্রুয়ারি সাংবাদিক হারুন অর রশিদ বাদী হয়ে ৩৪ জনকে আসামী করে বাউফল থানায় একটি হত্যা চেষ্টা মামলা দায়ের করেন। বাউফল থানায় মামলা নম্বর ২৮/২১। অধিকাংশ আসামীরা যুবলীগ নেতা তাপস হত্যা মামলা, উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক মো. মোতালেব হাওলাদারের ছেলে বগা ইউপি চেয়ারম্যান মো. মাহমুদ হাসান, সাবেক চীফ হুইপের ছেলে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের উপকমিটির নেতা রায়হান সাকিব, উপজেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. ইব্রাহিম খলিল, পৌর যুবলীগ সভাপতি মামুন খাঁন, ছাত্রলীগ নেতা লিংকন মাহমুদ ও সুমন মাহমুদের উপর হামলার ঘটনায় দায়েরকৃত মামলার আসামী।
মামলার বাদী সাংবাদিক হারুন অর রশিদ খাঁন বলেন, গত ২১শে ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় পৌর মেয়রের পালিত সন্ত্রাসীরা আমাকে এবং স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে শহিদ ইব্রাহিম সেলিমের সহোদর মো. ইব্রাহিম ফারুকে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা চালায়। হামলায় ইব্রাহিম ফারুকের বাম চোখ ৯০ ভাগ নষ্ট হয়ে যায় এবং তার হাতও ভেঙে দেওয়া হয়। অপরদিকে আমার মাথায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপ দেওয়া হয়।
এবিষয়ে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ উপ-পরিদর্শক শেখ মো. জাহিদুল ইসলাম বলেন, সঠিকভাবে মামলার তদন্ত কর্যক্রম শেষে ঘটনার সাথে জড়িতদের নামে বিজ্ঞ আদালতে অভিযোগ পত্র দাখিল করা হয়েছে। বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আল মামুন জানান, মামলার তদন্ত কর্মকর্তার বেশ কয়েক মাস ধরে বিষয়টি তদন্ত করেছেন। ঘটনার সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়েছে।
Development by: webnewsdesign.com