বাউফলে অর্থ সংকটে করোনা রোগী, কিনতে পারছেন না ওষুধ

মঙ্গলবার, ০৬ জুলাই ২০২১ | ৬:২৮ অপরাহ্ণ

বাউফলে অর্থ সংকটে করোনা রোগী, কিনতে পারছেন না ওষুধ
apps

বাউফলে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত কেশবপুর ইউনিয়নের মো. ইসমাইল হোসেন বেপারী(৫০) নামের এক ব্যাক্তি আর্থিক সংকটে ওষুধ কিনে খেতে পারছেন না বলে জানা গেছে। ইসমাইল বেপারী বাউফল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কোভিড-১৯ এর আইসোলেশন ইউনিটে ভর্তি রয়েছেন।

নিয়মিত ওষুধ খেতে না পড়ায় তার স্বাস্থ্য দিন দিন অবনতি হচ্ছে। রয়েছে শ্বাসকষ্টও। আজ মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আইসোলেশন ইউনিটে খোঁজ নিয়ে ওই তথ্য জানা গেছে।

জানা যায়, উপজেলার কেশবপুর ইউনিয়নের ভরিপাশা গ্রামের মৃত লেদু বেপারীর ছেলে মো. ইসমাইল হোসেন বেপারী (৫০) করোনা আক্রান্ত হয়ে বাউফল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আইসোলেশন ইউনিটে ভর্তি হন।

প্যারাসিটামল ও এ্যাজিথ্রোমাইসিন গ্রুপের ওষুধের সাথে করোনার অন্যতম প্রধান ওষুধ ফেভিপিরাভি দিয়ে তার চিকিৎসা চলছে । সব ওষুধ হাসপাতাল থেকে দিলেও করোনা রোগীদের শ্বাস কষ্ট নিয়ন্ত্রণে ফেভিপিরা-২০০ এর সরবরাহ না থাকায় বাহির থেকে কিনে খেতে হচ্ছে। কিন্তু ওই ওষুধটির দাম অনেক বেশি হওয়ায় ইসমাইল হোসেনের পক্ষে কিনে খাওয়া সম্ভব হচ্ছে না।

একাধিক চিকিৎসক জানান, এ জাতীয় ওষুধের প্রতিটির বাজার মূল্য ২০০ টাকা। একজন রোগির প্রতি বেলায় ৪টি করেওষুধ খেতে হয়। সে হিসেবে দৈনিক ১২টি ওষুধ দরকার। ১দিনের ওষুধের দাম ২হাজার ন৪০০ টাকা। এরকম ১০দিনে প্রয়োজন প্রায় ৩০ হাজার টাকার ওষুধ।যাহা ওই রোগির পক্ষে সম্ভব হচ্ছে না।

মো. ইসমাইল বলেন, “আমি গরীব মানুষ। রিকশা চালিয়ে সংসার চালাই। ওই ওষুধের অনেক দাম। ১পাতা কিনে খাইছিলাম। টাকার অভাবে আর কিনে খাইতে পারিনা। সরকারিভাবে ওষুধের জন্য মেম্বারের প্রত্যায়নসহ আবেদন করেও কোন সহযোগিতা পাইনি। ওষুধ না খেতে পারায় কাল থেকে শরিরটা অনেক খারাপ লাগছে”।

বিষয়টি বাউফল উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পণা কর্মকর্তা ডা. প্রশান্ত কুমার সাহার দৃষ্টি আর্কষণ করলে তিনি বলেন, এবিষয়ে আমার জানা নেই। আমি জানলে তার ওষুধের ব্যবস্থা করতাম।

Development by: webnewsdesign.com