জাতীয় সংসদের সরকারি প্রতিষ্ঠান কমিটির সভাপতি সাবেক চীফ হুইপ আ.স.ম. ফিরোজ বলেছেন, বাংলাদেশ এখন আর দুর্নীতির রোল মডেল নয়, এখনকার বাংলাদেশ বিশ্বের কাছে উন্নয়নের রোল মডেল। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পাকিস্তান কারাগার থেকে ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি দেশে ফিরে এসে তার মৃত্যুর পূর্ব মূহূর্ত পর্যন্ত যুদ্ধবিধস্ত বাংলাদেশকে সোনার বাংলায় রুপান্তর করার জন্য সরকারি বেসরকারি সকল প্রতিষ্ঠানের ভীত তৈরী করে গেছেন।
তিনি বেঁচে থাকলে আজকের বাংলাদেশ আমরা অনেক আগেই পেতাম। কিন্তু ১৯৭৫ সালে তাঁকে সপরিবারে হত্যার পর সকল ধরণের উন্নয়ন বন্ধ হয়ে যায়। দেশে শুরু হয় হত্যা-কু এবং লুটতরাজের রাজনীতি। তৎকালিন শাসকদের লোভ-লালসার কারণে দেশ বার বার দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হয়ে বিশ্বের কাছে বাংলাদেশকে একটি কলংকময় দেশ হিসেবে চিহ্নিত হয়েছিল।
আল্লাহর অশেষ দোয়ায় সৌভাগ্যক্রমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং শেখ রেহেনা দেশের বাইরে ছিলেন বলে বেঁচে যান। দীর্ঘ ২১ বছর শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আন্দোলন সংগ্রাম করে ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করে। শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী হয়েই বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে মনোনিবেশ করেন। ২০০১ থেকে ২০০৫ পর্যন্ত আবারো ষরযন্ত্রের মাধ্যমে আওয়ামী লীগকে দেশ পরিচালনা থেকে দুরে সরিয়ে দেয়া হয়। ২০০৯ থেকে আজ পর্যন্ত আওয়ামী লীগ সরকারে থেকে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা আজ বাস্তব রুপ পেয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে বিশ্ববাসির কাছে আজকের বাংলাদেশ উন্নয়নের একটি রোল মডেল। আজকের বাংলাদেশের উন্নয়নের ধারাবাহিকতা অনুসরণ করছে বিশ্বের উন্নত দেশগুলো।
মঙ্গলবার(১২ জানুয়ারি) বাউফলের কেশবপুর ইউনিয়ন পরিষদ মাঠে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যকালে আ.স.ম. ফিরোজ একথা বলেন। এমসয় তিনি আরো বলেন, আওয়ামী লীগের মধ্যে যেন কোন ধরণের অনৈক্যের সৃষ্টি না হয়। কিছু কিছু লোক দলে ঠুকে দলে অনৈক্যের সৃষ্টি করার পায়তারা করতে পারেন।
সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। আসছে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে যারাই নৌকার মনোনয়ন পাবেন সেই নৌকাকে বিজয়ী করতে ঐক্যবদ্ধভাবে সকল নেতাকর্মীদের কাজ করতে হবে। ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যক্ষ সালেহ আহমেদ পিকুর সভাপতিত্বে আয়োজিত সাংগঠনিক সভায় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুল মোতালেব হাওলাদার, উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মরিয়ম বেগম নিশু, উপজেলা যুবলীগের সাধারন সম্পাদক এম.এম.ফয়সাল আহমেদ আহমেদ মনির হোসেন মোল্লা, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি ও্ জেলা পরিষদ সদস্য হারুন অর রশিদ, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আল আমিন ত্বোহা, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি আবুল বাশার খান, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক বিশিষ্ঠ সমাজকর্মী এনামুল হক অপুসহ উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ের কয়েক হাজার নেতাকর্মী।
Development by: webnewsdesign.com