বাংলাদেশি জনশক্তি রপ্তানি সমস্যা সমাধানে আমিরাতের শেখদের আগ্রহ প্রকাশ

বুধবার, ২৯ জানুয়ারি ২০২০ | ৯:০৬ অপরাহ্ণ

বাংলাদেশি জনশক্তি রপ্তানি সমস্যা সমাধানে আমিরাতের শেখদের আগ্রহ প্রকাশ
apps

আরব আমিরাতে দীর্ঘ ৭ বছর ৬ মাস বন্ধ থাকা বাংলাদেশের শ্রমবাজার উম্মুক্ত করতে এবং বাংলাদেশি শ্রমিক রপ্তানি প্রক্রিয়া সহজ করার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন দেশটির জিসিসি সেন্টারের চেয়ারম্যান শেখ মোহাম্মদ বিন রাশেদ আল-মুয়াল্লাহ ও তাফহিম সার্ভিসের চেয়ারম্যান শেখ সাকার বিন মোহাম্মদ বিন হুমাইদ আল-নুয়াইমি। গত রোববার দুবাইতে তাদের কার্যালয়ে সাংবাদিকদের দেয়া ব্রিফিংকালে এমন আগ্রহের কথা জানান আমিরাতের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা ও শেখ পরিবারের এ দুই বিনিয়োগকারী সদস্য। জানান, তাদের অর্থয়ানে বাংলাদেশে জিসিসি, তাফহিম সার্ভিস ও বাংলাদেশ ওয়েলফেয়ার সেন্টার খোলার মধ্যদিয়ে দেশটিতে বাংলাদেশিদের বন্ধ ভিসা খোলার ক্ষেত্রে অনেকখানি সমাধান হবে বলে মনে করেন তারা।
তারা এ সময় সাংবাদিকদের জানান, ২০১২ সালে বাংলাদেশিদের নতুন নিয়োগ ভিসা যে কারণে বন্ধ করা হয়েছে তা কিন্তু শিক্ষার অভাবে হয়েছে জাতীয়তার কারণে নয়। আরব আমিরাত সকল বিদেশি নাগরিকদের বিশেষ করে তাদের কল্যাণে, সুখী ও সংস্কৃতির জন্যে দেশটিতে স্বাগত জানিয়ে থাকে। তবে বাংলাদেশের সাথে দেশটির খুব দৃঢ এক সম্পর্ক রয়েছে। তাই দীর্ঘ বছর পর হলেও আরব আমিরাত বাংলাদেশের জনশক্তিখাত উন্মুক্ত করার লক্ষ্যে যে সকল বিষয়গুলো অনুসরণ করে সর্বাধিক গুরুত্বপ‚র্ণ মনে করছি তার মধ্যে আমিরাতের অর্থয়ানে বাংলাদেশে একটি জিসিসি সেন্টার, তাফহিম সার্ভিস সেন্টার ও বাংলাদেশ ওয়েলফেয়ার সেন্টার তৈরি করা। স্বল্প ব্যয়ে আমিরাতে কর্মী পাঠানো এবং জিসিসি সেন্টার এ প্রক্রিয়াটি নিয়ন্ত্রণ করবে। উভয় দেশের পুলিশ ছাড়পত্র একই স্থান থেকে প্রদান করা। এজেন্টদের থেকে কর্মীদের এক মাসের অগ্রিম বেতন প্রদান করা এবং তা জিসিসি সেন্টার এ প্রক্রিয়াগুলোকে নিয়ন্ত্রণ করবে। আমিরাতে কর্মী পাঠানোর আগে কর্মীদের প্রশিক্ষণ দেয়ার পাশাপাশি আরব আমিরাত সম্পর্কে ধারনা দেয়া। দেশটির সংস্কৃতি, মুদ্রা ও আইন-কানুন সম্পর্কে জেনে রাখা। এ বিষয়গুলো তাফহিম সেন্টার প্রোগ্রামের আওতায় আসবে। কর্মীদের আমিরাতে আসার আগে প্রশিক্ষণ অপরিহার্য যাতে করে উভয় দেশের সুসম্পর্ক বজায় রাখা যায় এবং প্রত্যেকের সংস্কৃতি ও আইন-কানুনকে সম্মান করা যায়। তাদের মতে, আরব আমিরাতে দক্ষ এবং প্রশিক্ষিত কর্মী প্রয়োজন। কারণ কর্মীদের জন্য এখানে ডাবলিউপিএস এবং বীমা রয়েছে এতে নিয়োগকর্তা ব্যর্থ হলে প্রত্যেককে সময়মতো এবং পেমেন্ট গ্যারান্টিসহ প্রদান করতে হয়। উল্লেখ্য, ২০১২ সালের আগষ্টে বাংলাদেশিদের নতুন নিয়োগ ভিসা বন্ধ করে দেয় আরব আমিরাত।

Development by: webnewsdesign.com