ভারতে সপ্তাহে ২৮ ফ্লাইট চালুর প্রস্তাব দেবে বাংলাদেশএয়ার বাবল চুক্তি করে বাংলাদেশে ফ্লাইট চালু করতে আগ্রহী ভারত। নিজেদের পাঁচটি এয়ারলাইন্সের ২৮টি ফ্লাইট সপ্তাহে পরিচালনা করার প্রস্তাবও দেয় ভারত। দেশটির এ প্রস্তাব পর্যালোচনা করে বাংলাদেশের পক্ষ থেকেও তিনটি এয়ারলাইনসের মাধ্যমে ২৮টি ফ্লাইট পরিচালনার প্রস্তাব পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়।
মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা জানান, ভারতের প্রস্তাব পর্যালোচনা করতে বুধবার (১৪ অক্টোবর) বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিবের সভাপতিত্বে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ভারতের এয়ার বাবল চুক্তির আওতায় দেশটির প্রস্তাব পর্যালোচনা করা হয় এ সভায়। এ সময় বাংলাদেশি এয়ারলাইন্সগুলোর মাধ্যমে ভারতে সপ্তাহে ২৮টি ফ্লাইট পরিচালনার প্রস্তাব দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। এর মধ্যে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ১৪টি, ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের ১৩টি এবং নভোএয়ারের একটি করে ফ্লাইট পরিচালনা করা হবে। বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) মাধ্যমে লিখিত প্রস্তাব তৈরি করে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে ভারতে পাঠানোর পদক্ষেপ নেবে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়।
জানা গেছে, এয়ার বাবল চুক্তির আওতায় ভারত প্রস্তাব করেছে, যাদের দীর্ঘমেয়াদে এখনও ভিসার মেয়াদ আছে, তাদের মেয়াদ থাকা পর্যন্ত ভিসার বৈধতা দেওয়া হবে। এ ছাড়া ভিসা আবেদন সর্বোচ্চ সাত কর্মদিবসের মধ্যে সম্পন্নের প্রস্তাব দিয়েছে বাংলাদেশ। ভারত ভিসা আবেদন প্রক্রিয়া দ্রুততম সময়ের মধ্যে সম্পন্ন করবে। মেডিক্যাল ভিসায় যাওয়া যাত্রীদের ক্ষেত্রে একজন রোগীর সহযোগী হিসেবে তিন-চার জন ব্যক্তির ভিসা দেওয়ার প্রস্তাব করেছিল বাংলাদেশ। রোগীর সহযোগী হিসেবে সর্বোচ্চ তিন জনের ভিসা দেওয়ার বিষয়ে সম্মতি জানিয়েছে ভারত। বাংলাদেশের প্রস্তাবে উভয় দেশের যাত্রীদের জন্য ৭২ ঘণ্টার আগের পিসিআর টেস্টের নেগেটিভ সার্টিফিকেট বাধ্যতামূলক করার কথা বলা হয়েছে। তবে বাংলাদেশের সঙ্গে এয়ার বাবল চালু হলে ট্যুরিস্ট ভিসা আপাতত বন্ধ থাকবে। কেবলমাত্র মেডিক্যাল, বিজনেস ও অফিসিয়াল ক্যাটাগরিতে ভারতে যাওয়ার সুযোগ সৃষ্টি হবে।
এর আগে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো প্রস্তাবে, স্পাইস জেট, ইন্ডিগো, এয়ার ইন্ডিয়া, গোএয়ার, ভিস্তারা– এই ছয় এয়ারলাইনসের দিল্লি, কলকাতা, চেন্নাই, মুম্বাই থেকে ঢাকা এবং চট্টগ্রামে সপ্তাহে ২৮টি ফ্লাইট পরিচালনা করার প্রস্তাব পাঠানো হয়। বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে ‘এয়ার বাবল’ চুক্তির মাধ্যমে ফ্লাইট পরিচালনার বিষয়ে ৩ সেপ্টেম্বর সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলোর মধ্যে এক যৌথ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
১০ সেপ্টেম্বর বেবিচকের পক্ষ থেকে ফ্লাইট পরিচালনার প্রস্তাবনা জানিয়ে ভারতের সিভিল অ্যাভিয়েশনের মহাপরিচালককে চিঠি দেওয়া হয়। সেখানে বলা হয়, করোনা পরিস্থিতিতেও দুই দেশের মানুষের প্রয়োজনীয়তা বিবেচনায় চুক্তির বিষয়ে তারা আগ্রহী। বিশেষ করে, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস ঢাকা-দিল্লি-ঢাকা এবং ঢাকা-কলকাতা-ঢাকা রুটে, ইউএস-বাংলা এয়ারলাইনস ঢাকা-কলকাতা-ঢাকা এবং ঢাকা-চেন্নাই-ঢাকা রুটে ফ্লাইট পরিচালনা করতে চায়। এছাড়া নভোএয়ারও ঢাকা-কলকাতা-ঢাকা রুটে ফ্লাইট পরিচালনা করতে চায়।
Development by: webnewsdesign.com