বাঁধ সংস্কারের অভাবে বিলীন হওয়ার আশঙ্কা মসজিদ সহ বসতবাড়ি

সোমবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২১ | ২:৫৮ অপরাহ্ণ

বাঁধ সংস্কারের অভাবে বিলীন হওয়ার আশঙ্কা মসজিদ সহ বসতবাড়ি
apps

সীমান্তবর্তী ধলাই নদীর ঝুঁকিপূর্ণ বেড়িবাঁধ ৮ বছরেও সংস্কার করা হয়নি বলে ভুক্তভোগী বাঁধবাসীরা অভিযোগ করেছেন। বৃষ্টি কিংবা বন্যা হলে ঝুঁকিপূর্ণ ও অর্ধভাঙ্গা বাঁধ ভেঙ্গে নদীগর্ভে তলিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা বসতবাড়ি সহ প্রাচীন মসজিদ। মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার সীমান্তবর্তী ইসলামপুর ইউনিয়নের মোকাবিল গ্রামের ধলই নদীর ঝুঁকিপূর্ণ বেড়িবাঁধ সংস্কার হয়নি ৮ বছরেও।

ভারতের সীমান্তবর্তী ধলই নদীর ঝুঁকিপূর্ণ বেড়িবাঁধ পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃক সংস্কার না করায়, কয়েক বছর পৃর্বে স্হানীয়দের উদ্যোগে সংস্কার করার চেষ্টা করলে ভারতের সীমান্ত রক্ষী বাহিনী বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স (বিএসএফ) বাধার কারণে তা সম্ভব হয়নি, তারপর স্হানীয়রা পানি উন্নয়ন বোর্ডের মাধ্যমে সংস্কার করার জন জনপ্রতিনিধি সহ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সাথে যোগাযোগ করেন, সংস্কারের আশ্বাস পেয়েছেন কিন্তু আদৌ পরিপূর্ণ ভাবে সংস্কার করা হয়নি। ঝুঁকিপূর্ণ বেড়িবাঁধে সরেজমিন গিয়ে দেখা যায় ধলই নদীর দুর্বল ও ঝুঁকিপূর্ণ বাঁধের উপর পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃক নিম্ন মানের বস্তায় বালি ভরাট করে বাঁধ সংস্কার করা হচ্ছে। স্হানীয়রা অভিযোগ করে বলেন ৩ মাস ধরে নিম্ন মানের বস্তায় বালি ভরে বেড়িবাঁধের ভাঙ্গা অংশ ভরাট করা হচ্ছে, কাজের গতি ও মান নিম্ন মানের হওয়ায় বৃষ্টি দিলে ভাঙ্গা অংশ আরো ভেঙ্গে যাচ্ছে। স্হানীয় সূত্রে জানা যায় ইতিমধ্যে সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ ভারতের ভাঙ্গা অংশে সিমেন্টের ব্লক ও বালি ভর্তি বস্তা দিয়ে ভাঙ্গা বাঁধ সংস্কার করেছে, কিন্তু বাংলাদেশ অংশে তুলনামূলক কিছুই হয়নি।

ইসলামপুর ইউনিয়নের সাবেক সদস্য ও মনিপুরী (পাঙ্গাল) সম্প্রদায়ের কয়েকজন অভিযোগ করে বলেন, ধলই নদীর ঝুঁকিপূর্ণ ভাঙ্গা বেড়িবাঁধ পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃক বস্তা ভরে বালি ফেলার সময় ১৫ দিন পৃর্বে সেপ্টেম্বর প্রথম দিকে ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী, বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স (বিএসএফ) বাধা সৃষ্টি করে। এসময় বিএসএফ জওয়ানরা জানায় বাঁধ সংস্কারের ৩ মাস সময় দেওয়ার পরও সংস্কার করা হয়নি, বিএসএফ কর্তৃক অতিরিক্ত আর সময় না দেওয়ার কথা জানালে, মনিপুরী মুসলিম সম্প্রদায়ের কয়েকজন কাকুতি মিনতি করে বিএসএফকে অনুরোধ করলে, বিএসএফ জওয়ানরা চলে যায়। ইসলামপুর ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডের সদস্য মিনাল কান্তি সিংহ বলেন ৮ বছর পৃর্বে ধলই নদীর বাঁধটি ভেঙ্গে যায়, তখন সীমান্তবর্তী ধলই নদীর ভাঙ্গা ও ঝুঁকিপূর্ণ বেড়িবাঁধ সংস্কার করার জন্য, আমি ও ইসলামপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সহ পানি উন্নয়ন বোর্ড মৌলভীবাজার বরাবরে আবেদন করেছি।

Development by: webnewsdesign.com