বগুড়ার শিবগঞ্জে স্বামী ও সতিনের বিরুদ্ধে মেনেকা বেগম (২২) নামে এক গৃহবধূকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। রোববার দুপুরের দিকে উপজেলার সদর ইউনিয়নের মিল্কিপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর থেকে স্বামী মিলন মিয়া পলাতক রয়েছেন।
রোববার সন্ধ্যার দিকে পুলিশ ঘরের বিছানা থেকে লাশ উদ্ধার করে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার সদর ইউনিয়নের মিল্কিপুর গ্রামের জাহেদুল ইসলামের ছেলে মিলন মিয়া কয়েক বছর আগে পার্শ্ববর্তী ময়দানহাট্টা ইউনিয়নের পলাশী গুচ্ছগ্রামের মিন্টু মিয়ার মেয়ে মেনেকা বেগমকে বিয়ে করেন। সংসারে বনিবনা না হওয়ায় মিলন মিয়া বিয়ের দুবছর পর মর্জিনা বেগম নামে আরেকজনকে বিয়ে করেন। একই বাড়িতে দুই বউ নিয়ে সংসার চলাকালে তাদের মধ্যে মাঝেই ঝগড়া হতো। রোববার দুপুরে দুই সতিনের মধ্যে তুমুল ঝগড়া হয়।
প্রতিবেশীরা অভিযোগ করেন, এ সময় মিলন মিয়া ক্ষিপ্ত হয়ে প্রথম স্ত্রী মেনেকা বেগমকে মারপিট করে বাড়ি থেকে পালিয়ে যান। বিকালে প্রতিবেশীরা মেনেকা বেগমকে ডাকাডাকি করে সাড়া না পেয়ে ঘরে ঢুকে বিছানায় তার মরদেহ দেখতে পান। সন্ধ্যার দিকে শিবগঞ্জ থানা পুলিশ লাশ উদ্ধার করে বগুড়া শজিমেক হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে।
মৃতের বড় বোন মিমি বেগম অভিযোগ করেন, মিলন ও ছোট বউ মর্জিনা তার বোন মেনেকাকে পিটিয়ে হত্যা করেছে। খবর পেয়ে তিনি বোনের বাড়িতে গেলে তাকেও মারপিট করা হয়।
তিনি আরও জানান, এর আগেও স্বামী ও সতিন তার বোনকে মারপিট করেছিল। সোমবার দুপুরে শিবগঞ্জ থানার ওসি আবদুর রউফ জানান, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে এটি হত্যা না আত্মহত্যা সে ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়া যাবে। এরপর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। ঘটনার পর থেকে স্বামী মিলন মিয়া পলাতক রয়েছেন। নিহতের বাবা মিন্টু মিয়া আপাতত থানায় অপমৃত্যু মামলা করেছেন। ময়নাতদন্তের রিপোর্টে হত্যার কথা উল্লেখ করা হলে এটি হত্যা মামলায় রূপান্তর হবে।
Development by: webnewsdesign.com