ফেনীর ফাজিলপুরের অন্তঃসত্তা অবস্থায় গৃহবধূ শিরিনকে বৈদ্যুতিক শক দিয়ে হত্যা মামলায় স্বামী ইয়াছিনের মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। আদালত তাকে আরও ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ডও দিয়েছেন। রবিবার দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক ড, বেগম জেবুন্নেছা এই রায় ঘোষণা করেন। এর আগে কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে দিয়ে আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়।
আদালত সূত্র জানায়, পরিবারিক কলহের জের ধরে ২০১৯ সালের ৫ মার্চ রাতে অন্তঃসত্তা অবস্থায় শিরীনকে বৈদ্যুতিক শক দিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। ঘটনার দু’দিন পর ৭ মার্চ খুনের অভিযোগ এনে শিরিনের মা রেজিয়া বেগম বাদী হয়ে ইয়াছিনকে আসামি করে ফেনী মডেল থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
পুলিশ সেই দিনই আসামিকে গ্রেফতার করে পরের দিন আদালতে হাজির করলে আসামি ইয়াছিন ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করে। পরে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই আবু তাহের চলতি বছরের ১৮ জানুয়ারি ইয়াছিনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। পরে ১০ নভেম্বর মামলার চার্জ গঠন হয়। এ মামলায় ৮ জনের স্বাক্ষ্য গ্রহন করা শেষে আদালত এই রায় দেন।
মামলায় আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত হয়েছে বলে জানান রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী হাফেজ আহম্মদ। মামলার বাদী শিরিনের মা রেজিয়া বেগম জানান, বিচার পাইছি। সরকারের কাছে দাবী রায় যেন কার্যকর হয়। তবে আসামী পক্ষের আইনজীবী বলেন, রায়ে ন্যায় বিচার পাওয়া যায়নি। ২০১৮ সালের ২৬ নভেম্বর সদর উপজেলার ফাজিলপুর এলাকার মো. ইয়াছিনের সঙ্গে শিরীন আক্তারের বিয়ে হয়।
Development by: webnewsdesign.com