দাগনভূঞাঁর দরবেশহাট মাদ্রাসার অপহৃত কোমলমতি নাবালিকা ছাত্রীকে উদ্ধার করেছে ফেনী জেলার পিবিআই পুলিশ।
গত ২৭/৬/২০২৫ খ্রি. তারিখ বিকাল ০৪:০০টায় দাগনভুঁইয়া থানার ১ নং সিন্দুরপুর ইউনিয়নের বারইকান্দি গ্রামের আফরোজা আরা নামক জনৈক কুয়েত প্রবাসীর স্ত্রী তার নাবালি কন্যাকে তাদের নিজ ঘরে রেখে ব্যক্তিগত কাজে পার্শ্ববর্তী বাড়িতে গেলে সিয়াম(১৯) নামক এক লম্পট ও বখাটে ছেলে আফরোজা আরার ঘরে গিয়ে তার কোমল মতি মাদ্রাসা পড়ুয়া মেয়েকে জোরপূর্বকভাবে অপহরণ করে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায়। লম্পট ও বখাটে সিয়াম , আফরোজার আরার নাবালিকা মেয়েকে অপহরণ করে নিয়ে যাবার সময়ে আফরোজা আরার ঘরে থাকা স্টীলের আলমীরা হতে ১০ লক্ষ টাকা ও ৮ ভরি স্বণার্লংকার চুরি করে নিয়ে যায়। আফরোজা আরার মেয়েকে অপহরণ করার সময়ে আসামী সিয়ামের মা ও নানা তাকে অপহরণে সহায়তা করেন। এ ব্যাপারে আফরোজা আরা নিজে বাদী হয়ে ফেনী জেলার বিজ্ঞ বিচারক, নারী ও শিশু নিযার্তন দমন ট্রাইব্যুনাল—এ মামলা দায়ের করলে বিজ্ঞ আদালত বাদীনির অভিযোগটি এজাহার হিসেবে গন্য করতঃ নিয়মিত মামলা রুজু করার জন্য দাগন ভূঞাঁ থানার অফিসার ইনচার্জকে নির্দেশ দিলে দাগনভূঞা থানার মামলা নং—৯, তাং— ৯/৭/২০২৫ খ্রি. ধারা ঃ নাঃ শিঃ নিঃ দঃ আঃ ২০০০এর ৭/৩০ মামলা রুজু করা হয় এবং মামলাটি তদন্তের জন্য পুলিশ সুপার, পিবিআই ফেনী জেলা’কে নির্দেশ দিলে মামলাটির তদন্তভার পুলিশ পরিদর্শক প্রভাষ চন্দ্র ধর এর উপর অর্পন করা হয়।
মামলাটির তদন্তকালে পিবিআই ফেনী জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জনাব আছমা আরা জাহান এর সার্বিক দিক নির্দেশনায় ও পিবিআই হেডকোয়াটার্সের প্রেরিত তথ্য ও প্রযুক্তির সহায়তায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সাড়াঁশি অভিযান চালিয়ে গতকাল ১১/০১০/২০২৫খ্রি. তারিখ সন্ধ্যা ০৬:০০টায় নোয়াখালী জেলার সেনবাগ থানাধীন মোহাম্মদপুর গ্রামের মৃত আবু কালামের ছেলে জনৈক মঈন উদ্দিনের ঘর থেকে মঈন উদ্দিনের হেফাজত হতে ফেনী জেলার পিবিআই এর চৌকষ টিম ভিকটিম’কে উদ্ধার করতে সক্ষম হন। তবে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ধূর্ত ও লম্পট আসামী সিয়াম পালিয়ে যান। আসামী সিয়ামকে গ্রেফতারের জন্য পিবিআই এর চৌকষ টিম সেই এলাকায় সারা রাত অভিযান চালান। ভিকটিম উদ্ধার হওয়ার পর কাঁদতে কাঁদতে লোমহর্ষক অপহরণ ঘটনার বর্ণনা দেন। লম্পট ও বখাটে সিয়াম অপহরণের পর ভিকটিমকে চট্টগ্রামের, ফেনীর ও নোয়াখালীর অনুমান ৩০ টি জায়গায় নিয়ে রেখেছিল বলে জানান। অপহরণকারীরা অপহরণের পর ভিকটিমকে নিয়ে প্রতিনিয়ত স্থান পরিবর্তন করতো এবং ভিকটিমের শরীরের গোপন অঙ্গসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে জলন্ত সিগারেটের ছ্যাকা দিতো বলে জানান।
অদ্য ১২/১০/২০২৫খ্রি. তারিখে ফেনী জেলার পিবিআই পুলিশ কতৃর্ক উদ্ধারকৃত ভিকটিমের ডাক্তারী পরীক্ষা করানোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয় এবং ডাক্তারী পরীক্ষা শেষে নারী ও শিশু নিযার্তন দমন আইনের ২২ ধারার বিধান মোতাবেক বিজ্ঞ ম্যাজিষ্ট্রেট কতৃর্ক ভিকটিমের জবানবন্দি রেকর্ড করার জন্য বিজ্ঞ আদালতে উপস্থাপন করা হয়। বর্তমানে অপহরণের ঘটনায় জড়িত সকল আসামীদেরকে গ্রেফতারের জন্য সাড়াঁশি অভিযান চলমান আছে।
Development by: webnewsdesign.com