দেশের বৃহত্তম স্থলবন্দর বেনাপোল দিয়ে সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত বন্ধ ছিল দুই দেশের মধ্যে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য ও পণ্য খালাস প্রক্রিয়া।
ভারতীয় আমদানি নিষিদ্ধ ওষুধ ও ২শ’ বোতল ফেনসিডিলসহ আমদানিকৃত পণ্যবাহী ভারতীয় ট্রাক আটকের ঘটনায় সিএন্ডএফ কর্মচারীকে দায়ী করার প্রতিবাদে সিএন্ডএফ কর্মচারী স্টাফ অ্যাসোসিয়েশন আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যসহ পণ্য খালাস বন্ধ করে দেয়। পরে তারা কাস্টমস হাউসের সামনে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করে।
বৃহস্পতিবার (১৪ জানুয়ারি) সকাল ৯টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত দুই দেশের আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য বন্ধ ছিল। ফলে উভয় দেশের বন্দর এলাকায় আটকা পড়ে শত শত পণ্যবোঝাই ট্রাক।
বুধবার রাতে বেনাপোল স্থলবন্দরে আমদানিকৃত পণ্যবাহী ট্রাকের ওপরে লুকিয়ে রাখা ২শ’ বোতল ফেনসিডিলসহ ভারতীয় একটি ট্রাক আটক করে কাস্টমস কর্মকর্তারা। পরে সিএন্ডএফের বর্ডারম্যান আক্তার হোসেনকে মাদক ও ওষুধ পাচারের সাথে দায়ী করার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করে।
সমাবেশে কাস্টমস পারমিট কার্ড কেড়ে নেওয়ার প্রতিবাদে ১০ দফা দাবিতে কাস্টমস ও বন্দরের সব কার্যক্রম বন্ধ করে দেয় সিএন্ডএফ এজেন্টস স্টাফ অ্যাসোসিয়েশন।
স্টাফ অ্যাসোসিয়েশন সাধারণ সম্পাদক সাজেদুর রহমান জানান, করোনাকালীন কোনো বর্ডারম্যান ভারতে যায় না। ভারত থেকে হেলপার ও চালকরা পণ্যবোঝাই আমদানি পণ্য নিয়ে আসে। বাংলাদেশে প্রবেশের সময় বাংলাদেশ গেটে আমদানি পণ্যবোঝাই ট্রাক তল্লাশি করে বন্দরে প্রবেশের দাবি করা হয়।
Development by: webnewsdesign.com