প্রাতিষ্ঠানিক ই-মেইল প্রদানের দাবি ইবি শিক্ষার্থীদের

বুধবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২০ | ২:২৭ অপরাহ্ণ

প্রাতিষ্ঠানিক ই-মেইল প্রদানের দাবি ইবি শিক্ষার্থীদের
apps

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শিক্ষার্থীদের প্রাতিষ্ঠানিক ই-মেইল প্রদানের দাবি জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্র মৈত্রী। বুধবার সংগঠনটির সভাপতি আব্দুর রউফ ও সাধারণ সম্পাদক মুতাসিম বিল্লাহ পাপ্পু এই যৌথ বিবৃতিতে এ দাবি জানান।

যৌথ বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, তথ্য প্রযুক্তির যুগে শিক্ষার গুণগত মানের উৎকর্ষ সাধনে পিছিয়ে থাকার কোন সুযােগ নেই। নিয়মিত নতুন নতুন প্রযুক্তির সংযােজন ঘটছে আমাদের প্রাত্যহিক জীবনে। যা শিক্ষা ও শিক্ষার্থীদের এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে ধাপে ধাপে। তেমনি প্রযুক্তির অন্যতম ক্ষেত্র একাডেমিক ই-মেইল।

নেতৃবৃন্দ বলেন, ইতােমধ্যে দেশের উল্লেখ্যযােগ্য সংখ্যক কয়েকটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের প্রাতিষ্ঠানিক ই-মেইল প্রদান করার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। আমরা ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও এই সুযােগ থেকে বঞ্চিত থাকতে চাই না।

নেতৃবৃন্দ বিবৃতিতে শিক্ষার্থীদের প্রাতিষ্ঠানিক ই-মেইল প্রদানে দ্রুত কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে অনুরােধ জানিয়ে বনেন, প্রাতিষ্ঠানিক ই-মেইল শিক্ষার্থীদের জন্য শিক্ষা ও গবেষণার দ্বার উন্মােচিত করে কয়েক ধাপ এগিয়ে নিয়ে যাবে। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে গবেষণাসহ দূর্লভ কিছু প্রযুক্তির ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীরা সহজে প্রবেশ করতে পারবে। যে ক্ষেত্রসমূহে ট্রাডিশনাল ই-মেইল ব্যবহার করা যায় না, সেখানে প্রাতিষ্ঠানিক ই-মেইল ব্যবহার করে সহজেই সুবিধা গ্রহণ করা যায়।

এদিকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রাতিষ্ঠানিক ই-মেইল প্রদানের দাবি জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। উঠেছে নানা আলোচনা, সমালোচনার ঝড়।

আইসিটি বিভাগের শিক্ষার্থী তানিয়া আফরোজ তমা দাবি জানিয়ে বলেন, “গবেষণার জন্য অনলাইনে বিভিন্ন কোর্স/পেপার পড়তে হয়। প্রফেসরকে ইমেইল করতে হয়। প্রাতিষ্ঠানিক ই-মেইল না থাকায় বিভাগের স্যারদের মেইল ব্যবহার করতে হয়েছে। আমরা চাই ইবি প্রশাসন এ বিষয়ে কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ করে আমাদের প্রাতিষ্ঠানিক ই-মেইল দেওয়ার ব্যবস্থা করুক।”

বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি সেলের পরিচালক অধ্যাপক আহসান উল আম্বিয়া জানান, ‘এ ব্যাপারে আমাদেরও চিন্তাভাবনা আছে। কিছু প্রসিডিউর তথা প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত এবং অথেনটিকেশনের ব্যাপার আছে। আমরা টেকনিক্যাল বিষয়গুলো দেখছি। ক্যাম্পাস খুললে, উপাচার্য নিয়োগ সম্পন্ন হলে আমরা কাজ শুরু করব।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. শাহিনুর রহমান বলেন, ‘উপাচার্য না থাকায় এব্যাপারে আমি কোন সিদ্ধান্ত দিতে পারি না। উপাচার্য নিয়োগ হোক তারপর সিদ্ধান্ত গৃহিত হবে।’

Development by: webnewsdesign.com