রংপুরের পীরগঞ্জে মোহনা প্যাথলজিতে ভ্রাম্যমাণ আদালত কর্তৃক সিলগালাকৃত তালা ভেঙ্গে ব্যবসা চালিয়েছে প্রতিষ্ঠানের মালিক মিঠু। তার খুঁটির জোর কোথায় এবং প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে জনমনে।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায় বৃহষ্পতিবার সকাল ১১টায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট টিএমএ মমিনের নেতৃত্বে পীরগঞ্জ উপজেলা সদরে অবস্থিত বিভিন্ন ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ভ্রাম্যমাণ আদালতের ঝটিকা অভিযান চলাকালীন সময়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতের উপস্থিতি টের পেয়ে মোহনা প্যাথলজি, জনসেবা ডায়াগনস্টিক সেন্টার, মর্ডাণ ডায়াগনস্টিক সেন্টার, মেডিকেয়ার ডায়াগনস্টিক সেন্টার এবং ডক্টরস্ পয়েন্ট তাৎক্ষণিক বন্ধ করে পালিয়ে যায়।
ওই সময় মোহনা প্যাথলজিকে সিলগালা করা হয়। এদিকে মোহনা প্যাথলজির মালিক বৃহষ্পতিবার রাতেই নিজে সিলগালা করা তালা খুলে ফেলে অদৃশ্য ক্ষমতা বলে। এ বিষয়ে মোহনার মালিক মিঠু মিয়া জানান, ইউএনও এর সাথে কথা বলে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: রুহুল আমিন বুলেটের অনুমতিক্রমে তিনি নিজে তালা খুলেছে বলে জানা গেছে। এ বিষয়ে ইউএনও ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট টিএমএ মমিন বলেন, তালা খোলার ব্যাপারে কাউকে কোন অনুমতি দেয়া হয়নি।
এদিকে বিষয়ে ডা: রুহুল আমিনের সাথে যোগাযোগ করে বিধি সম্মতভাবে সিলগালা করা তালা খোলা হয়েছে কি না এমন প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, যে প্রক্রিয়ায় সিলগালাকৃত প্রতিষ্ঠানের তালা খোলা হয়, এক্ষেত্রে সেটি আদৌ মানা হয়নি। কর্তৃপক্ষের অনুমতি না নিয়েই তিনি নিজেই সিলগালাকৃত তালা খুলেছে। এটি করে তিনি আইন লংঘন করেছে।
এ বিষয়ে সিভিল সার্জন-রংপুর ডা: হিরম্ব কুমার রায় এর সাথে কথা বললে তিনি জানান, বিধিসম্মতভাবে তালা না খুলে ওই প্রতিষ্ঠানের মালিক অপরাধ করেছে। এদিকে মোহনা প্যাথলজির মালিক মিঠু অদৃশ্য খুঁটির জোরে প্রতিষ্ঠান খুলে আল্ট্রাসনোগ্রাম, প্যাথলজিক্যাল পরীক্ষাসহ যাবতীয় কার্যক্রম পরিচালনা করছেন। তারপরও প্রশাসন কোন পদক্ষেপ না নেয়ায় জনমনে নানা প্রশ্নের ঝড় উঠেছে।
Development by: webnewsdesign.com