বগুড়া-রংপুর মহাসড়কে চেকপোস্ট বসিয়ে বিভিন্ন যানবাহন তল্লাশি করেন মোকামতলা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের সদস্যরা। কাজটি করে থাকেন মোকামতলা ফাঁড়ি পুলিশের কর্মকর্তা ও সদস্যারা।
বগুড়া’র মোকামতলা ২৪৮ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করে সেখান থেকে ৮৮বোতল বিক্রি করে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধে। এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে ফেনসিডিল উদ্ধারের ঘটনায় দায়ের করা মামলা ডিবি (গোয়েন্দা) শাখায় স্থানান্তর করা হয়েছে।পাশাপাশি পুলিশ সুপার নিজেই অভিযোগটির ব্যপারে তদন্ত শুরু করেছে।
মঙ্গলবার ২০ এপ্রিল রাতে মামলার আলামতসহ সকল নথিপত্র ডিবিতে হস্তান্তর করা হয়েছে।
জানা যায়, গত ৩ এপ্রিল রাতে বগুড়া-রংপুর মহাসড়কে চেকপোস্ট বসিয়ে বিভিন্ন যানবাহন তল্লাশি করেন মোকামতলা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের সদস্যরা। চেকপোস্টে নেতৃত্ব দেন শিবগঞ্জ সার্কেলের সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার আরিফুল ইসলাম সিদ্দিকী।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পুলিশ সদস্যরা জানান, ঢাকাগামী খালেক পরিবহন থেকে নাজিম নামের এক ব্যক্তির কাছ থেকে ৫০ বোতল এবং পিংকি পরিবহন থেকে সাইফুল ইসলাম নামের একব্যক্তি কাছ থেকে ১৯৮ বোতল ফেন্সিডিলসহ আটক করা হয়। এ ঘটনায় মোকামতলা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে উপ-পরিদর্শক (এসআই) সুজাউদ্দৌলা বাদী হয়ে পৃথক দুটি মামলা দায়ের করেন।
উদ্ধারকৃত ১৯৮ বোতল ফেনসিডিলের স্থলে ১১০ বোতল জব্দ দেখিয়ে সাইফুলের নামে মামলা দেয়া হয়। বাকী ৮৮ বোতল ফেনসিডিল পুলিশের এক কর্মকর্তা সোর্সের মাধ্যমে বিক্রি করে দেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
এমন অভিযোগের প্রেক্ষিতে বগুড়ার পুলিশ সুপার মামলা দুটি ডিবিতে স্থানান্তরের আদেশ দেন। এছাড়া তিনি গত ২০ এপ্রিল মোকামতলা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে উপস্থিত হয়ে ফেনসিডিল উদ্ধারের সময় উপস্থিত পুলিশ সদস্য ও মামলার স্বাক্ষীদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন।
মোকামতলা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ পরিদর্শক শাহিন উজ্জামান বলেন, এ ধরনের একটি অভিযোগের তদন্ত চলছে। মামলা ডিবিতে স্হানান্তর হয়ে গেছে।
শিবগঞ্জ সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার আরিফুল ইসলাম সিদ্দিকী বলেন, আমার নেতৃত্বে ৩ এপ্রিল রাতে চেকপোস্ট বসিয়ে ফেনসিডিল উদ্ধার করা হয়। ফেনসিডিল জব্দ করার সময় কম দেখানো হয়নি। তারপরেও অভিযোগ উত্থাপিত হওয়ায় পুলিশ সুপার নিজেই অভিযোগ খতিয়ে দেখার জন্য মঙ্গলবার (২০ এপ্রিল) মোকামতলায় উপস্থিত হয়ে তদন্ত চালিয়েছেন।
Development by: webnewsdesign.com