ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জে ৮নং দৌলতপুর ইউনিয়নে বালুবাড়ি বিষ্ণুপুর গ্রামে পানি বন্দি নরেশের পরিবার। এছাড়াও ঐ ইউনিয়নের আশে পাশে ভারী বৃষ্টির কারনে অসংখ্য ঘর-বাড়ী ফসলী জমি ক্ষেত খামার পানির তলিয়ে গেছে। সরজমিনে গিয়ে দেখায় পীরগঞ্জ উপজেলার বেশ কয়েকটি ইউনিয়নে ব্যাপক ভাবে ফসলের ক্ষতি হয়েছে ও পানিবন্দি অসংখ্য পরিবার, নরেশের ও অন্যান্য পানি বন্দি লোকজনদের সাথে কথা হলে তারা বলেন, আর্থিক সহায়তা চেয়ে ও পানি নিস্কাশনের ব্যবস্থা নিতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর আবেদন করেছেন অনেকেই।
এ বিষয়ে ৮নং দৌলতপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এর সাথে মূঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, পানি বন্দি ও ক্ষয়ক্ষতি কৃষকদের তালিকা করে পাঠানো হয়েছে। এছাড়াও ৩নং ওয়ার্ডে ইউপি সদস্য মনোরঞ্জন রায়ের সাথে সরাসরি কথা হলে তিনি বলেন, আমার নিজেরই তো থাকার জায়গা নাই। আমি আবার কি ভাবে সযোগিতা করব। তাছাড়া টানা কয়েকদিনের বর্ষনে এলাকায় দিশেহারা হয়ে পরেছে হতদরিদ্র মানুষ। বিভিন্ন এলাকায় পানির নিচে ডুবে রয়েছে কৃষকের আখ ক্ষেত, বাগান, শাক সবজির, নাসারি, ধান এবং ভেসেগেছে পুকুরের মাছ।
খোঁজ নিয়ে জানা যায় উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকা চন্দরিয়া, বৈরচুনা, চান্দোহর, পালিগাঁও, ভেলাতৈড়, ভোমরাদহ, ২নং কোষারানীগঞ্জ ইউনিয়নের কোষাবন্দর পাড়ায় ঝুকিঁপূর্ণ ভাবে রয়েছে নদীর ধারের ঘর-বাড়ি, ডুবে গেছে কৃষকের ফসলের মাঠ এবং ভেসে গেছে অনেকের পুকুরের মাছ । ভারী বর্ষণ উপেক্ষা করে ফসল রক্ষায় জমির আলকেটে পানি নিষ্কাশনের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে কৃষকেরা ।
বাশঁগাড়ার কৃষক অতুল চন্দ্রের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, টানা কয়েক দিনের ভারী বৃষ্টিতে তার লাগানো প্রায় চার বিঘা জমির ধান পানির নিচে, বৃষ্টির পানি নেমে গেলে শুরু হবে আবার পোকার আক্রমণ। গোদাগাড়ী এলাকার কৃষক মাহাবুব আলম বেশ হতাশার সাথে বলেন, এক দিকে করোনায় নাস্তানুবাদ আবার অসময়ের টানাবৃষ্টিতে আমার ধান ক্ষেত এবং বাগানের ব্যাপক ক্ষতি হয়ে গেলো। উপজেলার সেনুয়া গ্রামের আব্দুল রশিদ বলেন ,প্রবল বর্ষণের ফলে লাউ ও শাক সবজির ক্ষেত গুলোকে বাচিঁয়ে রাখা অনেক কঠিন হবে বলে তিনি মনে করেন।
টানা কয়েক দিনের ভারী বর্ষণে ডুবে গেছে উপজেলার অনেক পুকুর ভেসে গেছে কৃষকদের আবাদ করা মাছ।পুকুর চাষি আনোয়ার হোসেন ও আজাদের সাথে কথা হলে তারা বলেন, অনেক কষ্টে আমাদের পুকুরের মাছ গুলো বড় করে ক’টা টাকার আশায় কিন্তু প্রবল বৃষ্টিপাতের কারণে অনেক মাছ ভেসে গেছে। এদিকে ভারী বৃষ্টিতে পানি লেগে থাকায় শাক সবজির ক্ষেত নষ্ট হওয়ায় সব ধনের শাক সবজির দাম ইতিমধ্যে হু হু করে বেড়েই চলছে।
এছাড়াও আলু চাষাবাদ জমির জন্য প্রস্তুতকৃত জমিতে পানি লেগে থাকায় আলু রোপনে বিলম্ব হবে বলে অনেকে মনে করছেন।সরজমিনে গিয়ে দেখা যায় ভারতীয় সীমার্ন্তে উচুঁকরে রাস্তা নির্মাণ করায় পীরগঞ্জের চান্দোহর এবং চন্দরিয়া গ্রামে বর্ষার পানি নিষ্কাশনে বেশ ভোগান্তিতে পড়েছে এলাকার মানুষ।
Development by: webnewsdesign.com