বরগুনা সার্কিট হাউজ মাঠে শীতকালীন পিঠা বিক্রি করে এক ছেলে ও এক মেয়ের নিয়ে সংসার চালান সিমা । ৪ বছর আগে স্বামী নান্নু মুন্সি লিভার নষ্ট হয়ে মারা যাওয়ার পর থেকেই স্ত্রী সীমাকে সংসারের হাল ধরতে হয়।
জানা যায়, বরগুনা সদর উপজেলা ৫ নংআয়লা পতাকাটা পতাকাটা ইউনিয়নের আফজাল মীরার ছেলের সাথে সীমা আক্তারের পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়।সীমার বাবার বাড়ি মির্জাগঞ্জ উপজেলার ছোটবেলায় বাবা মারা যায় তার কারণে নানা বাড়িতে বড় হয় সীমা নানা জায়নদ্দিন ফকিরের বাড়ি বরগুনা সদর উপজেলার ২নং গৌরিচন্না ইউনিয়নে হওয়ায় সীমা ও আফজালের ১৭বছর আগে বিবাহ সম্পন্ন হয়।
বিবাহের পর স্বামীর বাড়িতেই থাকতেন সীমা স্বামী আফজাল কাঁচামালের ব্যবসা করতেন ,সীমার এক মেয়ে এক ছেলে নিয়ে বেশ ভালোই চলছিলেন সংসার। হঠাৎ করে স্বামী আফজালের লিভার ক্যান্সার হয়ে মৃত্যুবরণ এরপর, ছেলে মেয়ে নিয়ে অসহায় হয়ে পড়েন স্ত্রী সিমা।
জীবন সংগ্রামে নামেন সিমা ছেলে-মেয়ের লেখাপড়ার খরচ থাকতে হয় ভাড়াবাড়িতে বাড়ি ভাড়া সহ যাবতীয় খরচ মেটানোর জন্য বেছে নেন কর্মজীবন, গত চার বছর যাবৎ শীতকালীন সময় পিঠা বিক্রি করে জীবন নির্বাহ করছেন সিমা আক্তার,জীবন সংগ্রামী এই নারী কে সহায়তা করতে এগিয়ে আসেননি কোন মহল।
অসহায় সীমা বলেন, স্বামীর মৃত্যুর পরে বাচ্চা দুটো নিয়ে অসহায় হয়ে পড়েছি কি করবো জীবন তো চালাতে হবে বাচ্চা দু’টোকে মানুষ করতে হবে। তাই পিটাবে চাই কোন রকমের দুবেলা খাবারের যোগার করছি । মোগো মত গরীব রে তো আর কেউ সাহায্য করবে না। সরকারি কোনো সাহায্যা এখনও পর্যন্ত পাইনি।
Development by: webnewsdesign.com