পাকিস্তান ক্রিকেট দলের অধিনায়ক বাবর আজমসহ ২১ জনের বিরুদ্ধে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে মামলার আবেদনটি খারিজ করে দিয়েছেন আদালত।
আজ বৃহস্পতিবার (২৫ নভেম্বর) ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আবুবকর সিদ্দিক নথী পর্যালোচনা শেষে এ আদেশ দেন।
এর আগে বৃহস্পতিবার ঢাকার অ্যাডিশনাল চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আববকর ছিদ্দিকের আদালতে বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আল মামুন মামলার আবেদন করেন।
এদিকে,মিরপুরে অনুশীলনের সময় পাকিস্তান ক্রিকেট দল নিজেদের জাতীয় পতাকা ওড়ানোয় এবং বিজয় দিবসে মওলানা ভাসানী স্টেডিয়ামকে হকিতে ভারত-পাকিস্তানের ফাইনাল ম্যাচের ভেন্যু ঠিক করায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন ৪০ বিশিষ্ট নাগরিক।
এমন ঘটনায় সরকারের নীরবতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তারা। পাশাপাশি পদত্যাগ চেয়েছেন ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল, বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন ও হকি বোর্ডের। সেই সঙ্গে পাকিস্তান সরকারের দিক থেকে ক্ষমা ও ভুল স্বীকারের আনুষ্ঠানিক বার্তাও আশা করছেন তারা।
গেল বৃহস্পতিবার মিরপুর স্টেডিয়ামে অনুশীলনের সময় পাকিস্তানের পতাকা ওড়ানোর জন্য পাকিস্তান ক্রিকেট দলের শাস্তি দাবি করেছে বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ। সেদিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে মানববন্ধন থেকে পাকিস্তানের পতাকা পুড়িয়ে এ দাবি জানানো হয়।
পতাকা ওড়ানোর ঘটনায় নীরব ভূমিকার জন্য বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের অপসারণেরও দাবি তুলেছে সংগঠনটি।
সমাবেশে ভাস্কর রাশা বলেন, “পতাকা বিধি লঙ্ঘন করে খেলার মাঠে পাকিস্তানের পতাকা ওড়ানোর মতো ন্যক্কারজনক ঘটনার বিষয়ে বিসিবির নীরবতা আমাদেরকে হতাশ করেছে। বিসিবির চেয়ারম্যান নাজমুল হাসান পাপনকে অবশ্যই দেশের জনগণের নিকট জবাবদিহি করতে হবে।
পরে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের সাধারণ সম্পাদক মো. আল মামুন ও মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুলও মানববন্ধনে বক্তব্য দেন।
Development by: webnewsdesign.com