রাজধানীর ব্যস্ততম এলাকা বিজয় সরণির বঙ্গবন্ধু নভোথিয়েটারের সামনের ফুটপাতের ঘটনা। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মাথায় আঘাত পেয়ে রক্তাক্ত অবস্থায় অজ্ঞাত এক যুবক অচেতন অবস্থায় ফুটপাতে পড়ে ছিল। এসময় তার পাশ দিয়ে অনেক পথচারী আসা-যাওয়া করেছেন, তাদের কেউ কেউ পাশে দাঁড়িয়ে মোবাইলে ছবি-ভিডিও ধারন ব্যস্ত থাকলেও লোকটাকে উদ্ধারে এগিয়ে আসেনি। পরে বিষয়টি পুলিশের নজরে আসলে দ্রুতই হাসপাতালে নেওয়া হয় ওই যুবককে।
জানা গেছে, গতকাল সন্ধ্যায় অচেনা ওই যুবককে এভাবে দেখে সঙ্গে সঙ্গেই একজন পুলিশ সদস্য পাশে থাকা ট্রাফিক তেজগাঁও বিভাগের অতিরিক্ত উপ পুলিশ কমিশনারকে অবগত করেন। পরে পুলিশের গাড়িতে তুলে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাকে। পরে তিনি চিকিৎসায় সুস্থ হয়ে ওঠার পর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাকে নিজ বাড়িতে পাঠিয়ে দেয় পুলিশ।
তেজগাঁও ট্রাফিক বিভাগের অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার এস এম শামীম পুরো বিষয়টি নিয়ে ভিডিওসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে দীর্ঘ পোস্ট দিয়েছেন।
তিনি জানান, মঙ্গলবার সন্ধ্যার পর পর ডিউটি করছিলেন বিজয় সরণি মোড়ে। হঠাৎ তার গাড়ির ড্রাইভার পুলিশ সদস্য শহিদ এসে জানান বঙ্গবন্ধু নভোথিয়েটারের সামনে একজন লোক ফুটপাথে পড়ে আছেন। দম যায় যায় অবস্থা। দ্রুত গিয়ে দেখেন রাস্তার পাশে ঘাসের উপর পড়ে আছে লোকটা। অবস্থা আশঙ্কাজনক। পরে লোকটাকে বসিয়ে পানি এনে মাথায় ও মুখে ছিটিয়ে দেয়ার পর কিছুটা জ্ঞান ফেরে তার। কী সমস্যা হয়েছে জানতে চাইলে লোকটা সেইভাবে কিছু বলতে না বলতেই আবার অজ্ঞান হয়ে পড়েন।
পুলিশ কর্মকর্তা শামীম আরও জানান, লোকটিকে হাসপাতালে নেয়ার জন্য তেজগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে দ্রুত টিম পাঠাতে বললে সাব ইন্সপেক্টর শরিফ টিম নিয়ে চলে আসেন। পরে পুলিশের গাড়িতে করে রাস্তার এক সাইট ফাঁকা করে দ্রুত লোকটাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়।
ট্রাফিক তেজগাঁও বিভাগ এবং তেজগাঁও থানা পুলিশকে ধন্যবাদ জানিয়ে এই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, ভেবে ভালো লাগছে লোকটা বেঁচে আছে। তবে তিনি আক্ষেপ নিয়ে বলেন, দ্রুত লোকটাকে হাসপাতালে পাঠানোর চিন্তায় যখন আমরা অস্থির, তখন বেশ কিছু মানুষ আহত লোকটার ভিডিও এবং ছবি তুলছিলেন। কয়েকজন এল অনুমতি নিতে যে তাকে একটু ছবি তোলার সুযোগ যেন করে দেই। কিন্তু যখন তাদের বললাম আসেন লোকটাকে হাসপাতালে নিয়ে যাই, তখন তারা দূরে সরে যায়।
Development by: webnewsdesign.com